শুক্রবার হুগলিতে তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে জনসভা করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন হুগলির ধনেখালিতে দাঁড়িয়ে লকেটকে কড়া আক্রমণ করলেন অভিষেক। লকেট নিজের সংসদীয় এলাকার বাসিন্দাদের জন্য কিছু করেননি বলেও অভিযোগ তাঁর। ভোটের মুখে রিপোর্ট কার্ড চ্যালেঞ্জও ছুঁড়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। প্রসঙ্গত, হুগলির বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় বিদায়ী সাংসদও। তিনি ভোটে জিতলেও জনপ্রতিনিধির মতো কোনও কাজ করেননি বলেই অভিযোগ অভিষেকের। ‘‘লকেট চট্টোপাধ্যায় ভোট চাইতে গেলে জিজ্ঞেস করবেন, আপনার দলের নেতৃত্ব বলেছেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করে দেবেন, এ নিয়ে আপনার অবস্থান কী? আপনি কি চান লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হয়ে যাক, লকেটকে জিজ্ঞেস করবেন’’, স্থানীয় ভোটারদের উদ্দেশে জানান তিনি।
পাশাপাশি, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার যে কোনওদিনই বন্ধ হবে না, সেই আশ্বাসও দেন অভিষেক। বলেন, “যে বিজেপি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করতে চায়, সেই বিজেপিকে উচিত শিক্ষা দেবেন তো? ভয় পাবেন না। কেউ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করতে পারবে না। আপনার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করার ক্ষমতা কোনও নেতার নেই। আমি কথা দিয়ে যাচ্ছি। রাজ্যে যত দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার থাকবে, তত দিন আমরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বুক দিয়ে আগলে রাখব। প্রধানমন্ত্রী চাইলেও বন্ধ করতে পারবেন না।” আগামী ২০শে মে, পঞ্চম দফায় হুগলিতে নির্বাচন। তার আগে রিপোর্ট কার্ড প্রকাশের চ্যালেঞ্জও ছুঁড়ে দেন অভিষেক। তাঁর স্পষ্ট চ্যালেঞ্জ, “ধনেখালিতে কী করেছে হিসাব দিক। মঞ্চ থেকে চ্যালেঞ্জ করছি, বিজেপি নেতাদের কানে কথা গেলে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করুন। হুগলির যেকোনও বুথে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সভার আয়োজন করুন। ১০ বছরে মোদীজি কী করেছেন রিপোর্ট নিয়ে আসবেন। একদিকে আমি আর একদিকে বিজেপির প্রতিনিধি থাকবেন। যদি প্রমাণ করতে পারেন রাজ্য সরকারের তুলনায় দশ পয়সার বেশি উন্নয়ন করেছেন তাহলে তৃণমূলের হয়ে আর ভোট চাইব না।” উল্লেখ্য, এর আগে নির্বাচনী প্রচারের শুরুর লগ্নে জলপাইগুড়ি সফরের আগে এক্স হ্যান্ডেলে রিপোর্ট কার্ড চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এখনও পর্যন্ত সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে দেখা যায়নি পদ্মশিবিরের কোনও নেতাকেই