২০২১ সালের ১০ এপ্রিল, বিধানসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফায় শীতলকুচি বিধানসভার জোড়পাটকি পঞ্চায়েতের ৫/১২৬ নম্বর বুথে ভোট চলাকালীন সিআইএসএফ জওয়ানদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল চার ভোটারের। এবার সেই শীতলকুচিতে ফের চলল গুলি। রাতের অন্ধকারে গুলিবিদ্ধ হলেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান। অভিযোগ, কেউ বা কারা বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তাঁকে গুলি করে পালিয়ে যায়। তাঁর হাঁটুর ওপরে গুলি লেগেছে। গুরুতর জখম অবস্থায় তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে তৃণমূল।
কোচবিহারের শীতলকুচি ব্লকের লালবাজারের পঞ্চায়েত প্রধান অনিমেষ রায়। বৃহস্পতিবার রাতে লালবাজার চৌপতিতে সাংগঠনিক মিটিং সেরে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। তখনই দুষ্কৃতীরা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে বলে অভিযোগ। প্রধানকে উদ্ধার করে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় শীতলখুচি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখান থেকে কোচবিহারের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে। আপাতত সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন। কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তা এখনও চিহ্নিত করা যায়নি। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে শীতলকুচি থানার পুলিশ।
শুক্রবার সকালে গুলিবিদ্ধ প্রধানকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন কোচবিহার জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি আব্দুল জলিল আহমেদ। এই ঘটনার নেপথ্যে বিজেপির হাত থাকতে পারে বলে মনে করছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘উনি রাতে লালবাজার এলাকায় নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন। রাতের অন্ধকারে বিজেপির মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীরা ওঁকে গুলি করেছে। হাঁটুতে গুলি লেগেছে। এখন তিনি ভাল আছেন। যে বা যারা এই কাজ করেছে, সে বা তাদের খুঁজে বের করতে আমরা পুলিশের কাছে তদন্তের আবেদন জানাচ্ছি। আমরা এর একটা বিহিত চাই। ওই এলাকায় বিজেপির দুষ্কৃতী বেড়ে গিয়েছে। আমার মনে হয়, তারাই এই ঘটনায় জড়িত।’