মোদী জমানায় বারবারই আঘাত নেমে এসেছে গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভের ওপর। চেষ্টা করা হয়েছে সংবাদ মাধ্যমের কন্ঠরোধের। এবার উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলীতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের জনসভা চলাকালীন এক সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগ উঠল। জানা গিয়েছে, বিজেপি কর্মীদের মারে জ্ঞান হারান রাঘব ত্রিবেদী নামে বছর সাতাশের ওই সাংবাদিক। পরে তিনি জানিয়েছেন, টাকার বিনিময়ে শাহের সভায় গ্রামের মহিলাদের নিয়ে আসার খবর করার জন্যই তাঁকে নিগ্রহের শিকার হতে হয়েছে। অন্যদিকে, যোগী রাজ্যে গুলি করে খুন করা হয়েছে আশুতোষ শ্রীবাস্তব নামে এক সাংবাদিককেও।
প্রসঙ্গত, রায়বরেলীতে শাহের সভায় আসা মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেন একটি ইউটিউব চ্যানেলের সাংবাদিক রাঘব। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া সেই ভিডিয়ো ক্লিপে (যার সত্যতা যাচাই করেনি এখন খবর) দেখা যায়, ওই মহিলারা জানাচ্ছেন ১০০ টাকা দিয়ে তাঁদের সভায় আনা হয়েছে। বলা হয়েছিল, এটা নরেন্দ্র মোদীর সভা। ওই মহিলারা অমিত শাহকে চেনেন না। পরে রাঘব জানিয়েছেন, ওই ভিডিয়োর খবর পাওয়ামাত্রই বিজেপির কর্মীরা তাঁর ওপরে চড়াও হন। প্রথমে ওই ভিডিয়োটি মুছে ফেলতে বলা হয়। কিন্তু তিনি রাজি না হওয়ায় মঞ্চের পিছনে নিয়ে গিয়ে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। তাঁকে ‘মুসলিম’, ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলতে থাকেন হামলাকারীরা। পরে তাঁকে একটি ঘরে আটকে রাখা হয়েছিল। সেখানেই জ্ঞান হারান রাঘব। পরে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে।
মহিলাদের সাক্ষাৎকারের ভিডিয়োটি এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে রাঘব লিখেছেন, ‘এটি সেই ভিডিয়ো ক্লিপ যা বাঁচাতে গিয়ে আমাকে অমিত শাহের সমাবেশে গণপ্রহারের শিকার হতে হয়েছিল, এটি সেই ক্লিপ যা ‘৪০০ পার’-এর ফাঁপা দাবির সত্যতাকে সামনে নিয়ে আসে, সেই বিজেপি বন্ধুরা যাঁরা আমাকে মারছিলেন, তাঁরা এই ক্লিপটি চেয়েছিলেন’। সাংবাদিক নিগ্রহের ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব। তিনি বলেন, ‘এটাই উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলা। সহিংস পরিবেশ তৈরি করে জিততে চায় বিজেপি।’