নির্বাচনী আবহেই সন্দেশখালি-ইস্যু নিয়ে তোলপাড় বঙ্গের রাজনীতির আবহ। স্টিং অপারেশনের ভিডিও ইতিমধ্যেই প্রবল অস্বস্তি বাড়িয়েছে পদ্মশিবিরের অন্দরে। এর মধ্যেই দেখা দিল নতুন জল্পনা। যা দিচ্ছে অশান্তির ইঙ্গিত। প্রসঙ্গত, এখন গরমের ছুটিতে সরকারি প্রাথমিক স্কুল বন্ধ। সন্দেশখালির কানমারির পূর্ব চুঁচুড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলিয়ে সোমবার দুপুরে গোপন বৈঠক করে বিজেপি। সেখানে হাজির ছিলেন বঙ্গ বিজেপির কিছু নেতা, অসমের কমপক্ষে দু’জন বিজেপি নেতা। গোপন বৈঠক ঘিরে তোলপাড় সন্দেশখালি। গোপন বৈঠকের কথা জানাজানি হতেই, স্থানীয় লোকজন নির্বাচন কমিশন এবং পুলিশকে খবর দেয়। কমিশন ও পুলিশের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে জানতে পারে, স্কুল কর্তৃপক্ষের কোনও অনুমতি ছাড়াই গোপন বৈঠকে বসেছিল বিজেপি। কমিশনের আপত্তিতে ভেস্তে যায় বৈঠক। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, তবে কি সন্দেশখালিতে নতুন করে অশান্তির সৃষ্টি করতে চাইছে বিজেপি? তৃণমূলের বক্তব্য, ধষর্ণের ভুয়ো অভিযোগ ফাঁস হতেই বেকায়দায় পড়েছে পদ্মশিবির। তাই এলাকায় নতুন গোলমাল ও বিশৃঙ্খলা তৈরির ছক কষছে তারা।
উল্লেখ্য, এরপরই বিজেপি ফের উত্তপ্ত করার চেষ্টা করে সন্দেশখালিকে। সন্দেশখালির বেড়মজুর-১ নম্বর পঞ্চায়েতের বাগদিপাড়ায় ফের আগুন জ্বালিয়ে, রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে বিজেপি। মহিলাদের সামনে রেখে অবরোধ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন গেরুয়া শিবিরের পুরুষ কর্মী-সমর্থকরা। পুলিশ রাস্তা অবরোধমুক্ত করে। পূর্ব চুঁচুড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অপূর্ব মণ্ডল বলছেন, কোনও রাজনৈতিক দলই স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে বৈঠকের জন্য অনুমতি চায়নি। গত ২২শে এপ্রিল থেকে গরমের ছুটি চলছে। তিনি বাড়িতে আছেন। তাঁর কাছে কেউ কোনও অনুমতি চায়নি। স্কুলের একটি চাবি থাকে প্যারা টিচার ভূপাল দলুইয়ের কাছে। তাঁর থেকে চাবি পেয়েছে, নাকি জোর করে স্কুল খোলা হয়েছে, তা দেখতে হবে। ওই প্যারা টিচারের দাবি, স্কুলের ভিতরে নয়, মাঠে বৈঠক করেছে বিজেপি। প্রধান শিক্ষক ও প্যারা টিচারকে আজ, মঙ্গলবার সকালে থানায় ডেকে পাঠিয়েছে পুলিশ। বসিরহাট পুলিশ জেলার সুপার হোসেন মেহেদি রহমান জানিয়েছেন, অনুমতি ছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিজেপি বৈঠক করছিল। নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের হয়। ওখানে অসমের লোকজনও ছিলেন। একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে গোটা ঘটনার ভিডিও রেকর্ডিং করা হয়েছে। নির্বাচনের আবহে এমন ঘটনা স্বভাবতই মাথাব্যথা বাড়িয়েছে গেরুয়া-নেতৃত্বের।