এবার দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অমিত শাহকে কড়া ভাষায় একহাত নিলেন দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি শাহ ঘোষণা করেছেন, “৭৫ বছর বয়সেই অবসর নিতে হবে, এমন কোনও কথা বিজেপির সংবিধানে লেখা নেই। ক্ষমতায় ফিরলে মোদী ২০২৯ সাল পর্যন্তই প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। আগামী দিনেও দেশকে নেতৃত্ব দেবেন। মোদিজিই আমাদের নেতা। বিজেপির অন্দরে এ নিয়ে কোনও সংশয় নেই। এভাবে মিথ্যা ছড়িয়ে কোনও লাভ হবে না। ইন্ডি জোটের স্বপ্ন কোনও দিন পূরণ হবে না।” এর পর থেকেই নতুন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে জাতীয় রাজনীতিতে। বিজেপি বলছে, অবসরের প্রশ্ন নেই। মোদী প্রধানমন্ত্রী থাকবেন ২০২৯ সাল পর্যন্ত এবং তার পরেও। শাহের এই ঘোষণার মধ্যেও দ্বিচারিতা দেখছে আম আদমি পার্টি। আপ নেতা সঞ্জয় সিং মনে করিয়ে দিচ্ছেন, এই অমিত শাহই ২০১৯ সালে লোকসভার প্রার্থী ঘোষণার সময় স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, ৭৫ বছর বয়স পেরিয়ে যাওয়ার জন্য অনেককে টিকিট দেওয়া যায়নি। সেই বাদের তালিকায় ছিলেন মোদীর সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বীরাও। আবার গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আনন্দীবেন প্যাটেলের কথাও মনে করাচ্ছে বিরোধী শিবির। যাকেও কিনা এই বয়সের অজুহাতে পদত্যাগে বাধ্য করেছিলেন এই মোদী-শাহ।
ফলত আপ-সহ বিরোধীদের বক্তব্য, ক্ষমতার লোভের বশবর্তী হয়ে নিজে তৈরি নিয়মই ভাঙছেন মোদী-শাহ। শনিবার অরবিন্দ কেজরিওয়াল দাবি করেছেন, সেপ্টেম্বরেই দিল্লীর মসনদে মোদীর বদলে বসবেন অমিত শাহ। কারণ, মোদির বয়স ৭৫ বছর হচ্ছে আগামী ১৭ই সেপ্টেম্বর। তিনি নিজেই নিয়ম করেছেন, ৭৫ বছর বয়স হলেই দলের নেতারা অবসর নেবেন। লালকৃষ্ণ আডবানী, মুরলী মনোহর জোশী, সুমিত্রা মহাজন, যশবন্ত সিনহারা এই নিয়মের বলি হয়েছেন। এবার তাহলে ১৭ সেপ্টেম্বর মোদীও অবসর নেবেন। মোদী অবসর নিলে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন? মোদির গ্যারান্টি কে পূরণ করবেন? অমিত শাহ করবেন কী? প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন আপ সুপ্রিমো।