চলছে লোকসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ পর্ব। এর মধ্যে ফের মাথাব্যথা বাড়ল বনগাঁর বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরের। নিজের ঘাঁটিতেই হারার আশঙ্কা তাড়া করছে তাঁকে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাড়ির কর্মীকে প্রার্থী করে নিজের পাড়াতেই আড়াইশোর বেশি ভোটে হেরেছিলেন শান্তনু। দু’-একটা ভোট নয়, তাঁর প্রার্থী হেরেছিলেন আড়াইশোর বেশি ভোটে। জানা গিয়েছে, এবারের লোকসভা ভোটে উদ্ধত শান্তনু ঠাকুরকে উচিত শিক্ষা দিতে জোট বাঁধছেন স্থানীয়রা। পাঁচ বছরের বঞ্চনা এবং বিশ্বাসভঙ্গের হিসেব নিতে চান তাঁরা। স্থানীয়দের অভিযোগ, গত ভোটে শান্তনু ঠাকুর আশ্বাস দিয়েছিলেন, খ্রিস্টান পাড়ার গির্জার সোজা রেল লাইনের নীচ দিয়ে আন্ডার পাস করে দেবেন। সেটা সম্ভব না হলে রেল গেট বানিয়ে দেবেন। কিন্তু কথা রাখেন নি তিনি।
পাশাপাশি, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আর এক ব্যক্তির বক্তব্য, এই রেল লাইনে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। বছর দুয়েক আগেও রেল দুর্ঘটনায় দু’জন মারা গিয়েছিল। উনি নিজের এলাকার কোন উন্নয়ন করেন নি। স্থানীয়দের অভিযোগ তিনি একমাত্র নিজের উন্নয়ন করেছেন। আর মানুষের সমস্যায় গুরুত্ব দিতে চান না। তাই এবারের ভোটে গাইঘাটা ব্লকে গো-হারা হারবেন শান্তনু ঠাকুর। উল্লেখ্য, গাইঘাটা ব্লকের ইছাপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে পড়ে ঠাকুরবাড়ি। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে মোট ৩০টি আসনের মধ্যে তৃণমূল পেয়েছিল ১৫টি, বিজেপি ১৪টি ও সিপিএম পেয়েছিল একটি আসন। সাংসদ শান্তনু ঠাকুর তাঁর নিজস্ব বুথে হেরে গিয়েছিল বিজেপি প্রার্থী শ্রেষ্ঠা মৃধা। তিনি পেয়েছিলেন ২৬৫ ভোট। সেখানে ব্যাপক ব্যবধানে জয় পেয়েছিল তৃণমূল। তৃণমূল প্রার্থী করেছিল রীতা মণ্ডল পেয়েছিলেন ৫২১ ভোট। এই গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪২ নম্বর বুথে বাড়ি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর ও গাইঘাটা বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক সুব্রত ঠাকুরের। গাইঘাটা ব্লকে মোট ১৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে তৃণমুলের দখলে গিয়েছিল ১২টি গ্রাম পঞ্চায়েত। একমাত্র ফুলসরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আসনটি টসে জিতেছিল বিজেপি। উপ প্রধানের আসন গিয়েছিল ঘাসফুল শিবিরের দখলে।