প্রথমবার লোকসভার লড়াইয়ে দাঁড়ানোর পর সোনিয়া গান্ধীকে অমেঠি কেন্দ্র চিনতে সাহায্য করেছিলেন তিনি। অমেঠি আসনটি রাহুল গান্ধীর জন্য ছেড়ে সোনিয়া যখন রায়বরেলিতে যান, তখনও অমেঠির দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন এই নেতাই। এবার অমেঠিতে গান্ধী পরিবারের সদস্যের বদলে সেই কিশোরী লাল শর্মাকেই প্রার্থী করল কংগ্রেস। উত্তর প্রদেশের এই হাইভোল্টেজ লোকসভা আসনে স্মৃতি ইরানির মুখোমুখি তিনি।
প্রসঙ্গত, কিশোরী লাল শর্মা গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত। চার দশকেরও বেশি সময় ধরে এই পরিবারের সহচর্যে রয়েছেন তিনি। পঞ্জাবের লুধিয়ানা শহরে তাঁর আদি বাড়ি। ১৯৮৩ সাল থেকে রাজীব গান্ধীর হাত ধরেই অমেঠি এবং রায়বরেলির মতো এলাকায় রাজনীতি করতে আসা। ১৯৯১ সালে রাজীব গান্ধীর মৃত্যুর পর তাঁর গান্ধী পরিবারের সঙ্গে সখ্যতা আরও বাড়ে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে এই দুই কংগ্রেস গড়ের যাবতীয় দেখভালের দায়িত্ব ছিল কিশোরী লাল শর্মার কাঁধেই। ফলে বরাবরই অমেঠি এবং রায়বরেলি কেন্দ্র তাঁর হাতের তালুর মতো চেনা।