বৃহস্পতিবার জেলাশাসকের দফতরে মনোনয়ন জমা দিতে এসেছিলেন তমলুক এবং কাঁথি কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য ও উত্তম বারিক। ওই একই সময়েই কাঁথি কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারীও মনোনয়ন জমা দিতে আসেন। আর তৃণমূল এবং বিজেপি— যুযুধান দুই পক্ষের সমর্থকেরা সামনাসামনি হতেই স্লোগান, পাল্টা স্লোগানে উত্তেজনা ছড়ায়। তবে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশবাহিনী।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ তমলুকের নিমতৌড়িতে জেলাশাসকের দফতরে মনোনয়ন জমা দিতে গিয়েছিলেন তৃণমূলের দুই প্রার্থী। অন্য দিকে, বিজেপির সৌমেন্দুও মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য কাঁথি থেকে তমলুকে এসেছিলেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে আগে থেকেই জেলাশাসকের দফতরের সামনের রাস্তা অস্থায়ী ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে রেখেছিল পুলিশ। শুধুমাত্র প্রার্থী ও তাঁর সঙ্গে থাকা প্রস্তাবক এবং দেহরক্ষীদেরই ভিতরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।
তবে সৌমেন্দুকে অভিনন্দন জানাতে আগে থেকেই ব্যারিকেডের সামনে হাজির ছিলেন বিজেপির কয়েক জন নেতা-কর্মী। অন্য দিকে, তৃণমূলের প্রার্থীরা এলে তাঁদের নিয়ে মিছিল করে এগিয়ে আসেন শাসকদলের কর্মীরা। সেই সময়ই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পক্ষ অপর পক্ষকে দেখে স্লোগান দিতে শুরু করে। তবে বাদানুবাদ শুরু হওয়ার আগেই পুলিশবাহিনী তড়িঘড়ি দুই পক্ষকে রাস্তার দু’দিকে সরিয়ে দেয়।
গতকাল বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দুর মনোনয়নে যোগ দিতে এসে বিড়ম্বনার মুখে পড়েন তাঁর বাবা তথা কাঁথির বিদায়ী সাংসদ শিশির অধিকারী। আঁটসাঁট সুরক্ষার ঘেরাটোপে জেলাশাসকের দফতরে ঢোকার পথে তাঁকে আটকে দেন পুলিশকর্মীরা। এই নিয়ে কিছু সময়ের জন্য আবার উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের হস্তক্ষেপে জেলাশাসকের কার্যালয়ে প্রবেশের অনুমতি পান শিশির।