মঙ্গলবার আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ১৫ সদস্যের ভারতীয় দল ঘোষণা করে দিয়েছে বিসিসিআই। ১৫ সদস্যের ভারতীয় দল বেছে নিয়েছে অজিত আগরকরের নেতৃত্বাধীন নির্বাচকমণ্ডলী। তবে ইতিমধ্যেই সেই নির্বাচন নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্কের ঝড়। দলে জায়গা পেয়েছেন সঞ্জু স্যামসন, শিবম দুবে, মহম্মদ সিরাজ। অথচ ঠাঁই হয়নি রিঙ্কু সিং, শুভমান গিল, কেএল রাহুলরা। সোশাল মিডিয়ায় এ নিয়ে সমালোচনায় সরব হয়েছেন অনেকেই। উল্লেখ্য, কেকেআরে খেলা রিঙ্কু গত কয়েক মাসে ভারতের টি-টোয়েন্টি দলে নিয়মিত ছিলেন। এ পর্যন্ত ১৫টি ম্যাচে ৩৫৬ রান করেছেন তিনি। গড় ৮৯। স্ট্রাইক রেট ১৭৬.২৪। শুভমনও জাতীয় দলের হয়ে ১৪টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। রান করেছেন ৩৩৫। একটি শতরান ও একটি অর্ধশতরান করেছেন। গড় ২৬, স্ট্রাইক রেট ১৪৭.৫৭। এ হেন দুই ক্রিকেটার বাদ পড়লেন। তাঁদের রাখা হল রিজার্ভ খেলোয়াড়দের তালিকায়।
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে কি জাতীয় দলের অতীত পারফরম্যান্সের থেকে বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে আইপিএলের ফর্ম? আইপিএলের ফর্ম প্রামাণ্য ধরলে হয়তো রিঙ্কুদের বাদ দেওয়াটাই স্বাভাবিক। রিঙ্কু এবারের আইপিএলে সেভাবে ব্যাট করার সুযোগ পাননি। গিলও দারুণ ফর্মে নেই। কিন্তু তাতেও পালটা প্রশ্ন রয়েছে, আইপিএলের ফর্ম ধরলে মহম্মদ সিরাজ কোন যুক্তিতে সুযোগ পেলেন? ঋতুরাজ গায়কোয়াড় এই মুহূর্তে অরেঞ্জ ক্যাপ পাওয়ার দৌড়ে দু নম্বরে। তাঁকে কেন বাদ দেওয়া হল? কেএল রাহুলও তো চলতি মরশুমে ভালো ফর্মে রয়েছেন। তাহলে কেন ভাবা হল না তাঁর কথা? বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতীয় দল দেখলেই বোঝা যাচ্ছে যে নির্বাচনের ক্ষেত্রে দ্বিধা কাজ করেছে নির্বাচকদের মধ্যে। কাউকে কাউকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে জাতীয় দলের পারফরম্যান্স দেখে। কাউকে কাউকে নেওয়া হয়েছে আইপিএলের ফর্ম দেখে। যার ফলে বাদ পড়ে গিয়েছেন রিঙ্কু সিংয়ের মতো প্রতিভাবান ক্রিকেটার। স্বাভাবিকভাবেই উত্তাল সমাজমাধ্যম। আইপিএল আর জাতীয় স্তরের ক্রিকেটের মধ্যে যে আকাশ-পাতাল তফাত আছে, সেটা কি ভুলে গিয়েছেন নির্বাচকরা? প্রশ্ন উঠেছে এমনই।