২০০৯ সালে বিজেপি পাহাড়ের দাবি নিয়ে বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু ২০১৪ সালে মূল বিজেপির ইস্তেহারে দার্জিলিংয়ের কোনও কথাই ছিল না। তারপর ২০১৯ সালে ফের পাহাড়ের রাজনৈতিক সমাধানের কথা বলেছিল গেরুয়া শিবির। ১১ জনজাতির দাবি মেটানোর আশ্বাসও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাও শেষমেশ জুমলায় পরিণত হয়েছে। এবারও ভোটের আগে বিজেপির নেতা-মন্ত্রীরা নানা কথা প্রচারে তুলে ধরছেন। কিন্তু পাহাড় সমস্যা সমাধানের কী হবে? তা নিয়ে ইস্তেহারে কোনও কথাই বলল না গেরুয়া শিবির। যা নিয়ে পাহাড় জুড়ে শুরু হয়েছে জোর আলোচনা। বিজেপি কেন চুপ? প্রশ্ন বিরোধীদের।
প্রসঙ্গত, পাহাড়ে রাজু বিস্তার ওপরই ভরসা রেখেছে পদ্ম শিবির। যদিও তাতে দলের অন্দরে ভাঙন দেখা গিয়েছে। বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা নির্দল হয়ে রাজুর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে পড়েছেন। এই আবহে সোমবার শিলিগুড়িতে প্রচারে এসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর দাবি করেন, ‘বিজেপি গোর্খাদের দাবি খতিয়ে দেখছে। কেউ সমাধান করতে পারলে সেটা নরেন্দ্র মোদীই করবেন। মোদীজির উত্তরবঙ্গে বিশেষ নজর আছে। দ্রুত ব্যবস্থা হবে।’ যদিও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বক্তব্যকে কটাক্ষ করে প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সভাপতি তথা জিটিএ প্রধান অনীত থাপা বলেন, ‘বিজেপি কী কাজ করেছে সেটা ১৫ বছরে পরিষ্কার। কেন্দ্রের সব দল আশ্বাসই দিয়েছে। এবার নয়াদিল্লির কারও ইস্তেহারে কিছুই নেই।’ অন্যদিকে, কংগ্রেস প্রার্থী মুনীশ তামাংয়ের কথায়, ‘বিজেপি দার্জিলিং নিয়ে করতে কী চায় সেটা পরিষ্কার করে দিল। ওরা কখনও পাহাড়ের সমস্যা নিয়ে ভাবেনি। আগামী দিনেও ভাববে না।’