আগে থেকেই ঘনিয়েছিল আশঙ্কা। সেইমতো পশ্চিম এশিয়ায় যুদ্ধ-সংকটের পরিস্থিতি তৈরি হতেই ধস নামল ভারতের শেয়ার বাজারে। প্রসঙ্গত, ইজরায়েলের উপরে ২০০ মিসাইল দিয়ে হামলা চালিয়েছে ইরান। পাল্টা মোক্ষম জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইজরায়েলও। দালাল স্ট্রিট খুলতেই হু হু করে শেয়ার দরে পতন হল। সকালেই সেনসেক্সে ৭২৭ পয়েন্ট পতন হয়। ৭৩৫৩১.১৪ অঙ্কে নেমে দাঁড়ায় সেনসেক্স। নিফটির সূচকেও পতন হয়েছে। এবং এই পতন এতটাই ভয়ঙ্করভাবে হয়েছে যে মাত্র ১৫ মিনিটেই ৫ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছেন বিনিয়োগকারীরা। বাজার খোলার আগে থেকেই পূর্বাভাস ছিল যে ইজরায়েল-ইরানের বিরোধের জেরে শেয়ার বাজারে ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে। বিশ্ব বাজারে দাম বাড়তে পারে অপরিশোধিত তেলের। ক্রুড ওয়েলের দামে বিশেষ কোনও পরিবর্তন না হলেও, সোমবার বাজার খুলতেই শেয়ার বাজারে নামে ধস।
পাশাপাশি, সেনসেক্সের ৭২৭ পয়েন্ট পতন হয়ে সূচক নেমে দাঁড়ায় ৭৩৫৩১.১৪ অঙ্কে। নিফটির সূচকেও ২০০ পয়েন্ট পতন হয়ে ২২৩১৫.২০ অঙ্কে পৌঁছয়। ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে উত্তেজনার জেরে ভারতীয় শেয়ারবাজারে এই নিয়ে দ্বিতীয় দিন সূচকের পতন হল। এই পতনের জেরে বিএসই-তে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলির বাজার মূলধন ৫ লক্ষ কোটি টাকা থেকে ৩৯৪.৬৮ লক্ষে নেমে এসেছে৷ টাটা মোটরস, টাটা স্টিল, এসবিআই, এনটিপিসি, পাওয়ার গ্রিডের শেয়ারে সর্বাধিক পতন হয়েছে। সান ফার্মা, মারুতি সুজুকি, পাওয়ার গ্রিড, টাইটান, জেএসডব্লিউ স্টিল, টেক মাহিন্দ্রা, লারসেন অ্যান্ড টুব্রো এবং স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার শেয়ারের দাম পড়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে বাজার বন্ধ ছিল। ক্রুড ওয়েলের দাম ব্যারেল প্রতি ৯০ ডলারে পৌঁছেছে। জটিলতর হলে তেলের দাম ১০০ ডলারও পার করতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে।