দেশে মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিভিন্ন সময় প্রশ্নের মুখে পড়েছে গণতন্ত্র। বারবার বিজেপির বিরুদ্ধে দেশে যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর উপর আঘাত আনার অভিযোগ উঠেছে। প্রসঙ্গত, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে জনসঙ্ঘের আন্দোলন তথা কাশ্মীর যাত্রার স্লোগান ছিল ‘এক দেশ এক নিশান’। নরেন্দ্র মোদী গদিতে বসার পর থেকেই ‘ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন’, ‘ওয়ান নেশন ওয়ান রেশন কার্ড’, ‘ওয়ান নেশন ওয়ান হেলথ কার্ড’, একের পর এক স্লোগান দিয়ে চলেছে বিজেপি সরকার। এবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা ঘোষণা করলেন, আঞ্চলিক দলের দিন শেষ। বৃহস্পতিবার সিকিমে দলের ইস্তাহার প্রকাশের সময় তিনি বললেন, “আঞ্চলিক দল অনেক হয়েছে। এবার আঞ্চলিক দলকে বিদায় জানিয়ে দিন। দুর্নীতিবাজদের বিদায় জানান। সবাই মূল স্রোতে যোগ দিন। মূল স্রোত হল কেবল ভারতীয় জনতা পার্টি।”
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, বিরোধী-মুক্ত দেশ অর্থাৎ ‘ওয়ান নেশন ওয়ান পার্টি’ই মোদীর লক্ষ্য? সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী সংসদে বলেছিলেন, আগামী ভোটের পর নাকি বিরোধীদের দর্শক গ্যালারিতে বসতে হতে পারে। অর্থাৎ বিরোধীশূন্য হাওয়া সম্ভাবনা আছে। কংগ্রেস-মুক্ত ভারত বিজেপি নেতাদের টার্গেট, একই সুর শোনা যাচ্ছে নাড্ডার গলায়। নাড্ডার দীর্ঘ বক্তব্যের এই অংশটি আলাদাভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করেছে বিজেপি। এ দেশের সংবিধান এবং সংসদীয় ব্যবস্থা, বহুদলীয় গণতন্ত্রকে ধারণ ও বহন করে। উল্লেখ্য, আঞ্চলিক দলগুলিকে সুকৌশলে দুর্বল করা চলছে মোদী আমলে। দল ভাঙা, জনপ্রতিনিধিকে ভাঙিয়ে আনা, দলবদল, ঘোড়া কেনবেচায় সরকার ফেলা, কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে বিরোধীদের পর্যুদস্ত করা, এসব কার্যত রোজের ঘটনা হয়ে গিয়েছে।