মোদী-জমানায় দেশের প্রকটতম সমস্যাগুলির মধ্যে অন্যতম হল বেকারত্ব ও মূল্যবৃদ্ধি। এর মধ্যেই প্রকাশ্যে এল সেন্টার ফর দ্য স্টাডিজ অব ডেভেলপিং সোসাইটি এবং লোকনীতির যুগ্ম সমীক্ষা। সেখান থেকেই স্পষ্ট, বিজেপি তথা মোদী কার্যত দিশাহীন। ভোটারদের নিয়েই চালানো হয়েছে সমীক্ষা। সমীক্ষায় ৭১ শতাংশ মানুষ, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের আকাশছোঁয়া দাম নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন। নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় সংসার চালানো এখন দায়, একথাও মানছেন তাঁরা। গরিব মানুষের ৭৬ শতাংশ, মুসলমানদের ৭৬ শতাংশ, উপজাতিদের ৭৫ শতাংশই বলেছেন, জিনিসপত্রের অত্যধিক দামের কারণে তাঁদের বদল এসেছে জীবনযাত্রায়। বেকারত্বের ইস্যু টপকে গিয়েছে অন্যান্য ঘটনাকে। শহর, নগর, আধা শহর থেকে গ্রামীণ এলাকার ৬২ শতাংশের বক্তব্য, কাজ নেই। স্থায়ী চাকরি, বা নিয়মিত আয়ের যেকোনও পেশা খোঁজা রীতিমতো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ৬৫ শতাংশই পুরুষই মনে করছেন কাজ নেই। মহিলাদের ৫৯ শতাংশ বলেছেন, উপযুক্ত কাজ পাচ্ছে না তাঁরা।
পাশাপাশি, ৬৭ শতাংশ মুসলমান নাগরিকের বক্তব্য, জীবিকার সন্ধান করেও তাঁরা উপযুক্ত পেশার সন্ধান পাননি। হিন্দুদের ওবিসিদের ৬৩ শতাংশ চাকরি না পেয়ে চরম ক্ষুব্ধ। উপজাতি সম্প্রদায়ের ৫৯ শতাংশ বলেছেন, তাঁদের কোনও জীবিকা নেই। সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, উচ্চবর্ণের হিন্দুদের মধ্যে ৫৭ শতাংশের বক্তব্য, বহু চেষ্টা করেও তাঁরা স্থায়ী চাকরি জোগাড় করতে পারছেন না। ১৯৬৩ সাল থেকে নীতি নির্ধারণকারী কেন্দ্রীয় সমীক্ষক সিএসডিএসকে আর্থিকভাবে সাহায্য করে কেন্দ্রীয় সরকারের ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর সোশ্যাল সায়েন্স রিসার্চ। কর্মসংস্থান নিয়ে সিএসডিএসের সমীক্ষা প্রকাশ্যে আসার আগেই ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন জানিয়েছে, ভারতের কর্মহীনদের মধ্যে ৮০ শতাংশের বেশি যুব সম্প্রদায়ভুক্ত। শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে, যা রীতিমতো আশঙ্কার। আইএলও রিপোর্টেরই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে সিএসডিএসের সমীক্ষায়। ভোটের মুখে যা স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তি বাড়াচ্ছে মোদী সরকার তথা গেরুয়াশিবিরের।