জোরকদমে চলছে লোকসভা নির্বাচনের প্রচার। শুক্রবার উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়িতে প্রথম সভা করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন ময়নাগুড়ির বার্নিশে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করলেন তিনি। সেখানে জানালেন, নির্বাচন কমিশন অনুমতি দিক বা না-দিক, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার জলপাইগুড়িতে ঝড়ে দুর্গতদের ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে দেবে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে সেই টাকা। আগামী ১৯শে এপ্রিল জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন। “জলপাইগুড়িতে এত বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটল। ওই রাতে কে এসেছিল, দিদি না মোদী? বিজেপির এই সাংসদকেও দেখা যায়নি। এরা বাড়ির টাকাও দেয়নি। এমনকী রাজ্য সরকার টাকা দিয়ে তৈরি করতে চাইলে তার অনুমতিও দেয়নি। আমার কাছে ডায়মন্ডহারবার যা জলপাইগুড়িও তা। আমার কাছে দক্ষিণ কলকাতা যা, জলপাইগুড়িও তা। আগামীদিন জলপাইগুড়ির লোকসভার নির্বাচনে জেতার পর সকলের বাড়ি তৈরির টাকা ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ঢুকে যাবে”, বক্তব্য অভিষেকের।
পাশাপাশি, তিনি স্পষ্ট করে দেন, “আমাকে অনেকে ফোন করে, মেসেজ করে জিজ্ঞাসা করেছেন নির্মলবাবু লোকসভায় চলে গেলে বিধায়ক কে হবেন? আমি কথা দিচ্ছি ফলাফল বেরনোর পর জুন মাসে আবার আসব। কাকে আপনারা বিধায়ক চান জানাবেন তাঁকেই প্রার্থী করব। এখানের পুরসভার ক্ষেত্রেও তাই হবে। মানুষ যাঁকে বিধায়ক চাইবে, কাউন্সিলর চাইবে তাঁকেই করা হবে। মানুষ যেভাবে তৃণমূলকে দেখতে চায় সেভাবেই আমি তৈরি করব। প্রয়োজন হলে নিজে ড্রপ বক্স রেখে গোপন ব্যালটে ভোট নেবো। নবজোয়ারে যেমন হয়েছিল।” ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য জেলায় জেলায় ঘুরে নবজোয়ার কর্মসূচি করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বচ্ছ ভাবমূর্তিসম্পন্ন সাধারণ মানুষ থেকে দলের একনিষ্ঠ কর্মী, এই স্তরের মানুষজনকেই পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থী করা হয়েছিল ঘাসফুল শিবিরের তরফে। নবজোয়ার কতটা সাফল্য পেয়েছিল, তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফলে। রাজ্যজুড়ে পঞ্চায়েত স্তরে ব্যাপক হারে ঘাসফুল ফুটেছিল। সেই কর্মসূচি আবারও হবে লোকসভা ভোট মিটলে। শুক্রবার ধূপগুড়িতে লোকসভা ভোটের প্রচারে গিয়ে এমনই ঘোষণা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জুনের শেষদিক থেকে শুরু হবে নবজোয়ার-২ কর্মসূচি, এমনই জানান তিনি।