আর কিছুদিন পরেই লোকসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই জোরকদমে চলছে ভোটের প্রস্তুতি। এর মধ্যেই প্রকাশ্যে এল নতুন খবর। শুধু কেন্দ্রীয় বাহিনী নয়, রাজ্যে প্রথম দফার ৩ আসনে ভোট করাবে রাজ্য পুলিশও। ভোটের কাজে প্রায় ১০ হাজার রাজ্য পুলিশের কর্মী ও আধিকারিককে ব্যবহার করা হবে বলে কমিশন সূত্রের খবর। ভোটের তিন দিন আগেই নির্ধারিত এলাকায় পৌঁছে যাবেন ওই পুলিশকর্মীরা। ১৯শে এপ্রিল প্রথম পর্বে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়িতে ভোটগ্রহণ। রয়েছে মোট ৫ হাজার ৪০০ বুথ। তিন জেলায় যথাক্রমে ১৭, ৯ ও ১১ কোম্পানি বাহিনী রয়েছে। রাজ্যজুড়ে রয়েছে ১৭৭ কোম্পানি বাহিনী। ফলে আদৌ সব বুথে বাহিনী মোতায়েন করা যাবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। যদিও কমিশন সূত্রের খবর, ভোটের আগে রাজ্যে চলে আসবে আরও প্রায় ১০০ কোম্পানি বাহিনী।
প্রসঙ্গত, সব মিলিয়ে ২৬৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আলিপুরদুয়ারে ৬৩ কোম্পানি, কোচবিহারে ১১২ কোম্পানি ও জলপাইগুড়িতে ৭৫ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা হবে। কিন্তু ওই সংখ্যক বাহিনীর পক্ষেও বুথ সামলানো, কুইক রেসপন্স টিম সামলানো, এলাকায় টহলদারি এত কাজ সম্ভব নয় বলেই মনে করছে কমিশন। যে কারণে রাজ্য পুলিশের প্রয়োজন পড়বে। কমিশন সূত্রে খবর, ওই তিনটি আসনের জন্য মোট ১০ হাজার ৮৭৫ জন পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হবে। তাঁদের মধ্যে ৩,৯৫৭ জন সশস্ত্র পুলিশ থাকবেন। ভোটের তিন দিন আগেই ওই কেন্দ্রগুলিতে পৌঁছে যাবেন পুলিশ আধিকারিকরা।