আচমকাই চাঞ্চল্য ছড়াল সংসদে। বুধবার রাজ্যসভায় নব নির্বাচিত সাংসদদের শপথগ্রহণ কর্মসূচি ছিল। এদিন দশজন সাংসদ এদিন শপথ নেন। শপথ নেন বাংলার দুই সাংসদ মমতা ঠাকুর ও সাগরিকা ঘোষ। আর মমতা ঠাকুরের শপথ চলাকালীনই সৃষ্টি হয় বিপত্তির। শপথ বাক্য পাঠ করার সময় মমতা ঠাকুর বলেন, তিনি হরিচাঁদ ঠাকুর ও গুরুচাঁদ ঠাকুরের নামে তিনি শপথ নিচ্ছেন। এরপরই আপত্তি জানানো হয়। দ্বিতীয়বার শপথ বাক্য পাঠ করেন মমতা ঠাকুর। সেবার হরিচাঁদ ঠাকুর ও গুরুচাঁদ ঠাকুরের বদলে ঈশ্বরের নামে শপথ নেন মমতা ঠাকুর। তৃণমূল সূত্রে খবর, এরপরেই মমতা ঠাকুর বলেন, হরিচাঁদ, গুরুচাঁদ ঠাকুর তাঁর ভগবান। ফলত অপমান করা হল মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রত্যেক নাগরিককে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আজ দশ জন রাজ্যসভার সাংসদ শপথ নেন। তার মধ্যে কর্ণাটকের বিজেপি সাংসদ নারায়ণ শাহ কৃষ্ণ শাহ ভান্ডাগে শপথ বাক্য শেষে বলেন, জয় শ্রী রাম। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তাতে আপত্তি করেন নি। আরেক বিজেপি সাংসদ অজিত মাধবরাও গোপচড়ে (মহারাষ্ট্র) শপথের শেষ বলেন, “ভারত মাতা কি জয়, জয় শ্রী রাম।” তখন অবশ্য রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বলেন যে, শুধুমাত্র শপথ বাক্যটি-ই অন-রেকর্ড থাকবে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, হরিচাঁদ, গুরুচাঁদ ঠাকুরের মতো শব্দ যদি বাদ যায়, তবে জয় শ্রী রাম কেন বাদ যাবে না? এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে বিরোধী সাংসদদের সঙ্গে। আপ সাংসদ স্বাতী মালিওয়াল শপথের সময় ইনকলাব জিন্দাবাদ বলেছিলেন। তাঁকে শব্দ দুটি বাদ দিয়ে দ্বিতীয়বার শপথ বাক্য পাঠ করানো হয়েছিল। নরেন্দ্র মোদীর জমানায় এর আগেও মতুয়াদের অপমান করা হয়েছে। রামমন্দির উদ্বোধানে মতুয়াদের কামনা সাগরের জল ও মাটি ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। যা নিয়ে তৈরি হয়েছিল তুমুল বিতর্ক।