এল না জয়। চলতি আইপিএলে ফের হারের মুখ দেখতে হল গুজরাত টাইটান্সকে। রবিবার লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে ১৬৪ রান লক্ষ্য ছুঁতে ব্যর্থ হলেন শুভমন গিলরা। প্রথমে ব্যাট করে ১৬৩ রান করেছিল লখনউ। গুজরাতের ইনিংস শেষ ১৩০ রানে। পাঁচ উইকেট নিলেন যশ ঠাকুর। এদিন ঘরের মাঠে লখনউ প্রথমে ব্যাট করে। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে দ্রুত আউট হয়ে যান কুইন্টন ডি’কক (৬) এবং দেবদত্ত পাড়িক্কল (৭)। সেই কারণে শুরুতে বড় শট খেলতে পারছিলেন না রাহুল। পরে মার্কাস স্টোইনিস এসে হাত খোলেন। রাহুলের সঙ্গে জুটি বেঁধে ৭৩ রান যোগ করেন। আর বড় শট খেলতে গিয়েই উইকেট দিয়ে এলেন রাহুল। স্টোইনিস না থাকলে লড়াই করার মতো জায়গা তৈরি করতে পারত না লখনউ। ৪৩ বলে ৫৮ রান করেন তিনি। গুজরাতের রশিদ খানদের বিরুদ্ধে তাঁকেই একটু হাত খুলতে দেখা গেল। ইনিংসের শেষ দিকে আয়ুশ বাদোনি (১১ বলে ২০) এবং নিকোলাস পুরান (২২ বলে ৩২) কিছুটা রান করেন। তাঁদের জন্যই লখমউ দেড়শো রানের গণ্ডি পেরোয়। গুজরাতের হয়ে দু’টি করে উইকেট নেন উমেশ যাদব এবং দর্শন নলকন্ডে। একটি উইকেট নেন রশিদ। আফগানিস্তানের আর এক স্পিনার নুর আহমেদ উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে মাত্র ২২ রান দেন। বেশি রান দেননি উমেশ যাদবও।
তবে এর পরেও গুজরাত জিততে পারল না। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাল তারা। কোনও জুটি তৈরি হল না। চোটের কারণে এই ম্যাচে খেলেননি ঋদ্ধিমান সাহা। তাঁর বদলে এ দিন ওপেন করেন সাই সুদর্শন। শুভমন গিলের সঙ্গে তিনি জুটি বেঁধেছিলেন। পাওয়ার প্লে-তে এই দুই ক্রিকেটার মিলে ৫৪ রানও তুলে ফেলেছিলেন। কিন্তু তাঁরা আউট হতেই গুজরাতের ব্যাটিং ভেঙে পড়ল। যশ ঠাকুর উইকেট নেওয়া শুরু করেন। শুভমনকে আউট করেছিলেন তিনি। শেষও করেন তিনি। এ বারের আইপিএলে প্রথম বার কোনও বোলার পাঁচ উইকেট নিল। কেন উইলিয়ামসনকে আউট করেন রবি বিষ্ণোই। নিজের বলে উল্টো দিকে লাফিয়ে ওযে ভাবে বলটা তালুবন্দি করলেন, তাতে প্রতিযোগিতার সেরা ক্যাচের দৌড়ে থাকবেন তিনি। যশ এবং বিষ্ণোইয়ের সঙ্গে ম্যাচ জেতানোর নেপথ্যে বড় ভূমিকা নিলেন ক্রুণাল পাণ্ডিয়া। ৪ ওভারে মাত্র ১১ রান দিয়ে তিনটি উইকেট তুলে নেন তিনি। একই ওভারে তিনি সুদর্শন এবং বিআর শরতের উইকেট তুলে নেন। সেই ধাক্কা আর সামলাতে পারেনি গুজরাত। শেষ অবধি হারতে হল তাদের। ম্যাচের সেরা হয়েছেন যশ ঠাকুর। রবিবারের জয়ের ফলে লিগ তালিকায় তিন নম্বরে উঠে এল লখনউ। চার ম্যাচে তিনটি জিতে ৬ পয়েন্ট রাহুলদের। হেরে সপ্তম স্থানে রয়ে গেল গুজরাত।