এমনিতেই ইভিএম নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। কারচুপির অভিযোগে বিভিন্ন সময় সরব হতে দেখা গিয়েছে তাদের। এবার প্রশাসনের সূত্র থেকে জানা গেল, ভোটিং মেশিন কমিশন করতে গিয়ে একের পর এক ইভিএম খারাপ বেরিয়েছে। প্রথম দফায় ভোটের জন্য যে সব ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন পাঠানো হয়েছে তার মধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশই খারাপ বেরিয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের নিয়ম মতো, কোথাও ১০০ ইভিএম প্রয়োজন হলে সেখানে এমনিতেই ১২০টি পাঠানো হয়। অর্থাৎ ১২০ শতাংশ পাঠানোই নিয়ম। কিন্তু ১২০টি মধ্যে যদি ৩০ শতাংশ খারাপ বেরোয়, তার অর্থ হল ১২০টির মধ্যে ৩৬টিই খারাপ। অর্থাৎ যেখানে ১০০টি ইভিএম প্রয়োজন সেখানে ভাল ইভিএম পড়ে থাকছে মাত্র ৮৪টি। মানে ১৬টি মেশিনের ঘাটতি থাকছে।
ইভিএমে যখন প্রার্থীদের নাম ঢোকানো হয় সেই প্রক্রিয়াকে বলা হয় কমিশনিং। এটা ঠিক যে প্রথম দফার ভোটের জন্য ইভিএমে প্রার্থীদের নাম কমিশনিং করতে আরও দু-তিন দিন হাতে সময় রয়েছে। কিন্তু এও ঠিক যে, বহু মেশিন খারাপ বেরিয়েছে। সূত্রের দাবি, এই ব্যাপারটা মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক তথা সিইও অফিসের গোচরে আনা হয়েছে।