লোকসভা নির্বাচন এখন দুয়ারে। জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে বিজেপিকে ঠেকাতে তৈরি ইন্ডিয়া জোট। যেখানে দেশের তামাম বিরোধীরা একছাতার তলায় এসেছে। আর আজ, শুক্রবার লোকসভা নির্বাচন নিয়ে নতুন ব্যাখ্যা দিলেন কংগ্রেস নেতা তথা প্রার্থী রাহুল গান্ধী। এবারের লোকসভা নির্বাচন দুটি শক্তির মধ্যে হচ্ছে। একটি শক্তি সংবিধান এবং গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে চাইছে। আর একটি শক্তি যারা এসবগুলিকে বাঁচাতে চাইছে। আজ কংগ্রেসের ইস্তেহার প্রকাশ করে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনই ব্যাখ্যা দিলেন রাহুল গান্ধী।
এদিকে ইন্ডিয়া সাইনিং সামনে রেখে এখন একই ধারণা চাউর করা হচ্ছে। অথচ ওটা হয়েছিল ২০০৪ সালে। এখন লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে বিজেপি নেতারা এবং স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর মুখে শোনা যাচ্ছে বিকশিত ভারতের কথা। যেটা আগে ছিল ইন্ডিয়া সাইনিং। এটাই বোঝাতে চেয়েছেন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, ‘মনে করুন, ওই প্রচারে কে জিতেছিল? বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ আক্রমণাত্মকভাবে প্রচার করেছিল এই ইন্ডিয়া সাইনিং নিয়ে ২০০৪ সালে। বিজেপি হেরে গিয়েছিল আর ইউপিএ সরকার গঠন করেছিল। আর ইন্ডিয়া জোট সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, এটা একটা আদর্শগত নির্বাচনী লড়াই এবং নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী পদ নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে।’
অন্যদিকে আগামী ১৯ এপ্রিল প্রথম দফার ভোট শুরু হবে গোটা দেশে। সেক্ষেত্রে হাতে আর দু’সপ্তাহ বাকি। শিক্ষানবিশের অধিকার, ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের আইনি গ্যারান্টি, সাংবিধানিক সংশোধনী এনে ৫০ শতাংশ সংরক্ষণ তফসিলি জাতি, উপজাতি এবং পিছড়ে বর্গের জন্য উল্লেখ করা হয়েছে কংগ্রেসের ইস্তেহারে। এই প্রতিশ্রুতিগুলি তুলে ধরা হয়েছে। যা দেশের মানুষের সামনে নিয়ে আসছে কংগ্রেস। প্রচারে তুলে নিয়ে আসা হবে। এখন দেখার এই প্রচার এবং বিষয়গুলি মানুষ কতটা মেনে নিচ্ছে। আর তারপর ভোটবাক্সে কেমন প্রভাব পড়ছে।