জমজমাট হয়ে রইল বৃহস্পতিবারের গুজরাত বনাম পাঞ্জাবের ম্যাচ। ২০০ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যাট করতে নেমে যেখানে শিখর ধাওয়ান, জনি বেয়ারস্টোরা ব্যর্থ হলেও জ্বলে উঠলেন তরুণ ব্যাটার শশাঙ্ক সিংহ। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দিলেন আর এক তরুণ আশুতোষ শর্মা। টান টান ম্যাচে গুজরাতকে হারাল পঞ্জাব কিংস। এদিন টস জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন পঞ্জাবের অধিনায়ক শিখর ধাওয়ান। এই ম্যাচে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করেন শুভমন। তাঁর ওপেনিং জুটি ঋদ্ধিমান সাহা এই ম্যাচে রান পাননি। ১১ রান করে আউট হন তিনি। চলতি আইপিএলে প্রথম বার খেলতে নেমে ২৬ রান করেন কেন উইলিয়ামসন। চলতি আইপিএলে গুজরাতের সব থেকে ধারাবাহিক ব্যাটার সাই সুদর্শন আরও একটি ভাল ইনিংস খেলেন। ব্যাট করতে নেমে মাঠের ফাঁকা জায়গা ব্যবহার করে বড় শট খেলা শুরু করেন তিনি। সঙ্গী শুভমন অবশ্য বড় শট খেলা থামাননি। সুদর্শন ১৯ বলে ৩৩ রান করে আউট হন। রান পাননি বিজয় শঙ্কর। শুভমন এক দিকে টিকেছিলেন। অর্ধশতরান করার পরেও রান তোলার গতি থামাননি তিনি। ৮৯ রানে অপরাজিত থাকেন। তেওতিয়া অপরাজিত থাকেন ৮ বলে ২৩ রানে। ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে গুজরাত তোলে ১৯৯ রান।
এরপর ২০০ রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ১ রানের মাথায় ধাওয়ানকে আউট করেন উমেশ যাদব। বড় ধাক্কা খায় পঞ্জাব। জনি বেয়ারস্টো ও প্রভসিমরন সিংহ শুরুটা ভাল করলেও বেশি ক্ষণ টিকতে পারেননি। বেয়ারস্টোকে ২২ ও প্রভসিমরনকে ৩৫ রানের মাথায় আউট করেন নুর আহমেদ। স্যাম কারেন ৫ রানে আউট হন। চার উইকেট পড়ার পরে সিকন্দর রাজা ও শশাঙ্কের মধ্যে জুটি হয়। শশাঙ্ক বেশ আক্রমণাত্মক খেলছিলেন। উমেশের এক ওভারে ১৭ রান করেন তিনি। কিন্তু জরুরি রানরেট ক্রমাগত বাড়ছিল। ফলে বড় শট খেলতে গিয়ে ১৫ রানে আউট হন সিকন্দর। পঞ্জাবের ইনিংস টেনে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব পড়ে শশাঙ্ক ও জিতেশ শর্মার উপর। ম্যাচ জিততে শেষ ৬ ওভারে দরকার ছিল ৬৯ রান। অর্ধেক দল সাজঘরে ফিরে গেলেও ভয় পাননি পঞ্জাবের দুই তরুণ ব্যাটার। শশাঙ্ক শুরু থেকেই বড় শট খেলছিলেন। এরপর জিতেশও হাত খোলা শুরু করেন। রশিদকে পর পর দু’বলে ছক্কা মারেন তিনি। তৃতীয় বলে আউট হয়ে যান। শেষ চার ওভারে জিততে দরকার ছিল ৪৭ রান। হাল ছাড়েনি পঞ্জাব। শশাঙ্ক ২৫ বলে অর্ধশতরান করেন। তাঁকে সঙ্গ দেন ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে নামা আশুতোষ শর্মা। শেষ ১২ বলে জিততে দরকার ছিল ২৫ রান। সেই ওভারে ওঠে ১৮ রান।।শেষ ওভারে দরকার ছিল ৭ রান। প্রথম বলে বড় শট খেলতে গিয়ে আউট হন আশুতোষ। ১৭ বলে ৩১ রান করেন তিনি। শশাঙ্ক তখনও ক্রিজে ছিলেন। তিনি ১ বল বাকি থাকতে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। ৬১ রান করে অপরাজিত থাকেন। ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন শশাঙ্কই।