লোকসভা ভোটের মুখেই বড়সড় ধাক্কা খেলেন রাষ্ট্রীয় লোকদল সুপ্রিমো জয়ন্ত চৌধুরী। বিজেপির সঙ্গে হাত মেলানোর প্রতিবাদে দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি এবং প্রাথমিক সদস্যপদে ইস্তফা দিলেন প্রবীণ নেতা শাহিদ সিদ্দিকী। ইস্তফাপত্রে তিনি লিখেছেন, নরেন্দ্র মোদির জমানায় দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে ধ্বংস করা হচ্ছে। যে দল দেশের সংবিধানের মূলে কুঠারাঘাত করছে, সেই দলের সঙ্গে হাত মেলানো মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। তবে আরএলডি ছাড়লেও অন্য কোনও দলে সামিল হচ্ছেন কিনা, তা স্পষ্ট করেননি প্রবীণ নেতা।
উল্লেখ্য, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী চরণ সিংকে ভারতরত্নে ভূষিত করেছে মোদী সরকার। ঠাকুরদাকে ওই পুরস্কার দেওয়ার পরেই সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে জোট ভেঙে বিজেপির হাত ধরেছেন আরএলডি সুপ্রিমো জয়ন্ত চৌধুরী। মূলত উত্তরপ্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলের জাঠ ভোট কব্জা করতেই ভোটের কয়েক মাস আগে মোদি সরকার চরণ সিংকে ভারতরত্ন দিয়েছেন বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।
সোমবার সকালে আরএলডির সভাপতি জয়ন্ত চৌধুরীর উদ্দেশে এক খোলা চিঠি পোস্ট করেছেন দলের প্রবীণ নেতা শাহিদ সিদ্দিকী। তাতে তিনি লিখেছেন, ‘গত ৬ বছর কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়েছি। একজন নেতা নন, আপনাকে নিজের ছোট ভাই হিসেবেই দেখেছি। আমি জানি রাজনৈতিক বাধ্যবাধ্যকতার কারণে আপনি বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধেছেন। আপনার ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। কিন্তু যে দলের জমানায় আজ দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলি ধ্বংস হতে চলেছে, সেই দলের সঙ্গে আমি হাত মেলাতে পারব না। ইন্দিরা গান্ধি যখন জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন, তখনও তার বিরোধিতা করেছিলাম। ভারতকে যে কারণে গোটা বিশ্ব সমীহের চোখে দেখত, সেই গণতন্ত্র আজ পুরোপুরি ধ্বংসের মুখে। যে দল তার জন্য পুরোপুরি দায়ী, তাদের সঙ্গে রাজনীতি করা, তাদের হয়ে প্রচার করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই দলের প্রাথমিক সদস্যপদে ইস্তফা দিলাম।’