সম্প্রতি রাজ্য বাজেটে বাংলার মহিলাদের বর্ধিত হারে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা দেবার ঘোষণা করেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। নয়া অর্থবর্ষে তা চালু হয়েছে। আজ থেকেই মিলছে বর্ধিত হারে ভাতা। তাতেই অত্যন্ত খুশি বাংলার মেয়েরা। দিকে দিকে আনন্দ-উদযাপনে মেতে উঠছেন তাঁরা। এবার থেকে মাসিক হাজার টাকা পাচ্ছেন সাধারণ মহিলারা। আর তফসিলি জাতি-উপজাতির মহিলারা ১২০০ টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন। আজ অকাল-হোলিতে মেতে উঠেছে সন্দেশখালি। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট লোকসভার অন্তর্গত সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাতো, সন্দেশখালি দু’নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য দিলীপ মল্লিক, দু’নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সহ–সভাপতি মহেশ্বর সর্দার, আদিবাসী নেত্রী অষ্টমী সর্দারদের কাছে পেয়ে শঙ্খধ্বনি-সহ নাচ ও গানের মধ্য দিয়ে সবুজ আবিরে একে অপরকে রাঙিয়ে দিলেন। এই রঙের উৎসবের ধরা পড়ে সন্দেশখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তরদ্বাড়ির জঙ্গল, কর্ণখালির গ্রামগুলিতে।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই দু’বছরের বকেয়া ১০০ দিনের কাজের টাকাও পেয়েছেন মহিলারা। তাই সন্দেশখালি এলাকার মহিলাদের বক্তব্য, “তৃণমূলের সঙ্গে আগেও ছিলাম, এখনও আছি, ভবিষ্যতেও থাকবো। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কথা দিয়েছিলেন, সেই কথা রাখলেন। তাই আজ সবাই আনন্দ উৎসবে মেতে উঠেছি। আমরা শান্তিতে আছি।” বিধায়ক সুকুমার মাহাতোর বক্তব্য, “সন্দেশখালি-সহ বসিরহাটের যেখানেই আমরা প্রচার করতে যাচ্ছি, আমাদের সাদরে গ্রহণ করা হচ্ছে। আজকে থেকে বর্ধিত লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা মিলছে।” তাই এখানে গ্রামের মহিলারা আবির খেলে এটাকে উদযাপন করলেন বলে জানিয়েছেন তিনি।