গত ২১ মার্চ আবগারি মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করেছে ইডি। এবার বিজেপিতে যোগ না দিলে তাঁকেও গ্রেফতার করা হবে মঙ্গলবার বিস্ফোরক দাবি করলেন দিল্লির মন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির (আপ) নেত্রী অতিশী মারলেনা। শুধু তিনি একা নন, আরও তিন আপ নেতা গ্রেফতার হতে পারেন বলে জানিয়েছেন দিল্লির মন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘আমি জানতে পেরেছি শীঘ্রই আমার বাসভবনে ইডি অভিযান চালাবে। তার পর আমাকে গ্রেফতার করে হেফাজতে নেবে।’
সোমবার ইডি দাবি করেছে, দিল্লির দুই মন্ত্রী অতিশী মারলেনা এবং সৌরভ ভরদ্বাজের নাম করে নাকি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, যাবতীয় বিষয় তাঁদেরকেই জানাতেন বিজয়। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে। অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করে জানাচ্ছেন, এবার হয়তো দিল্লির এই দুই মন্ত্রীকেও নিজেদের হেফাজতে নিতে পারে ইডি। মঙ্গলবার সেই আশঙ্কার কথাই শোনা গেল অতিশীর গলাতেও। তিনি বলেন, ‘কেজরিওয়ালের পর বিজেপি এখন আপের পরবর্তী নেতাদের নিশানা করছে।’
এর পরই অতিশী অভিযোগ করেন, ‘ব্যক্তিগত পরিসর থেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য। আমাকে বলা হয়েছে, আমি যদি আমার রাজনৈতিক জীবন বাঁচাতে চাই তবে আমি বিজেপিতে যোগ দিতে পারি। আর যদি বিজেপিতে না যাই তবে আগামী এক মাসের মধ্যে গ্রেফতার হতে পারি। আমাকে এক জন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রত্যেক আপ নেতাকে জেলে পাঠানোর জন্য মনস্থির করেছেন।’ তবে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, যাই হয়ে যাক না কেন আপ ছেড়ে তিনি অন্য কোনও দলে যাবেন না।
দিল্লির মন্ত্রীর কথায়, ‘সত্যেন্দ্র জৈন, মণীশ সিসৌদিয়া, সঞ্জয় সিংহের পর কেজরীওয়ালকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু এখন তারা (বিজেপি) আপের আরও চার নেতাকে গ্রেফতার করতে চায়। আমার পাশাপাশি রাঘব চড্ডা, দুর্গেশ পাঠক এবং সৌরভ ভরদ্বাজকেও গ্রেফতার করা হবে।’ তাঁর মতে, ‘বিজেপি ভেবেছিল কেজরিওয়ালকে গ্রেফতারের পর আপ ভেঙে পড়বে। কিন্তু রবিবার রামলীলা ময়দানে বিরোধী দলগুলিকে একত্রিত হতে দেখে ওরা ভয় পেয়েছে। তাই আরও আপ নেতাকে গ্রেফতার করার পরিকল্পনা করছে।’ তাঁর ধারণা, ‘প্রথমেই আমার আত্মীয়দের বাড়িতে অভিযান চালানো হবে। তার পর আমাকে সমন পাঠানো হবে। তার পর আমাকে গ্রেফতার করা হবে।’