কেজরির গ্রেফতারির বিরুদ্ধে পথে ইন্ডিয়া জোট। ‘যদি ভারতে ম্যাচ ফিক্সিংয়ে বিজেপি জিতে সংবিধান পরিবর্তনের চেষ্টা করে, সারা দেশে আগুন জ্বলবে’, দিল্লির রামলীলা ময়দানের সভা থেকে হুঁশিয়ারি দিলেন রাহুল গান্ধী।
লোকসভা ভোটের মুখে গ্রেফতার অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আবগারি দুর্নীতি মামলায় এখন ইডি-র হেফাজতে দিল্লির মুখ্য়মন্ত্রী। জেলে বসেই সরকার চালাচ্ছেন তিনি। আবগারি দুর্নীতি মামলায় দিল্লি হাইকোর্ট যেদিন রক্ষাকবচের আবেন খারিজ করে দেয়, সেদিনই মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে পৌঁছে যায় ইডি। প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে চলে জিজ্ঞাসাবাদ। শেষপর্যন্ত গ্রেফতার করা হয় আদমি পার্টির জাতীয় আহ্বায়ককে। কবে? গত বৃহস্পতিবার , ২১ মার্চ।
চুপ করে বসে নেই বিরোধীদের I.N.D.I.A জোট। আজ, রবিবার দিল্লির রামলীলা ময়দানে জনসভায় উপস্থিত ছিলেন সোনিয়া-রাহুল-প্রিয়াঙ্কা, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, শরদ পাওয়ার-সহ বিরোধী দলের প্রায় সমস্ত নেতানেত্রীরাই। সঙ্গে রাজ্যসভার দুই তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন ও সাগরিকার ঘোষও।
জনসভায় রাহুল বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদী নির্বাচনে ম্যাচ ফিক্সিং করার চেষ্টা করছেন। আমাদের সব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছেন। পয়সা দিয়ে সরকার ফেলা হয়। তবে এই ম্যাচ ফিক্সিং শুধু নরেন্দ্র মোদী করছেন না’। তাঁর দাবি, ‘তাঁর সঙ্গে কয়েকজন শিল্পপতি রয়েছেন। ভারতের সংবিধান ধ্বংস করা হচ্ছে। সংবিধান নষ্ট হলে দেশ বাঁচবে না। কৃষকের অর্থ, গরিবের অর্থ কয়েকজন শিল্পপতির কাছে চলে যাচ্ছে। আমরা কৃষকের এমএসপি, বেকারদের চাকরির কথা বলছি। আপনারা সতর্ক না হয়ে ভোট দিলে ম্যাচ ফিক্সিং কার্যকর হয়ে যাবে’।