গত বছরের অগস্টেই রজতকিশোর দে-কে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের পদে নিয়োগ করেছিলেন রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস। ৮ মাস কাটতে না কাটেই হঠাত তাঁকে সরিয়ে দিলেন নিজেই! এ নিয়ে ফের রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। মাথা গরম করে এই ধরণের কাণ্ড করলেন বলে বোসকে নিশানা করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
তিনি বলেন, ‘এইরকম একটা নৈরাজ্যবাদী, উন্মাদ, নির্বোধ রাজ্যপালকে আমাদের মাথায় ওপরে বসানো হয়েছে, রাজ্যের উচ্চশিক্ষাকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করার উদ্দেশ্য নিয়ে। একটা অভাবনীয় ঘটনা যে, গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূল অধ্যাপক সংগঠন ওয়েবকুপা, রাজ্য সম্মেলন করেছে ২ দিন আগেই। আমি গিয়েছিলাম ওয়েবকুপার সভাপতি হিসেবে। গোটা দেশে যেখানে নির্বাচনী আইন লাগু হয়ে গিয়েছে, সেখানে শুধুমাত্র কেন ওয়েবকুপা সম্মেলন করলেন, উপাচার্য অনুমতি দিলেন, তারজন্য ওখানে তড়িঘড়ি চিঠিটা উপাচার্যকে পাঠালেন!’
এদিকে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে মামলায় সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, ‘আর কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করতে পারবেন না রাজ্যপাল। যাঁদের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করেছেন, তাঁরা কোনও সুযোগ-সুবিধা পাবেন না।’ শিক্ষামন্ত্রীর মতে, ‘সুপ্রিম কোর্ট যেখানে বলেছেন, ওরা কেউ উপাচার্য নন। দায়িত্বপ্রাপ্ত হিসেবে আছেন। এখন যেহেতু নির্বাচনী বিধিনিষেধ চলছে, উনি এটা সরাতে পারেন না। আমাদের আইনি পরামর্শ নিতে হবে।’