লোকসভা নির্বাচন কার্যত দোরগোড়ায়। তবুও দুশ্চিন্তা কমছে না বঙ্গ বিজেপির। ফের প্রকাশ্যে চলে এল দলের সাংগঠনিক দুর্বলতা ও আভ্যন্তরীণ কোন্দল। সাংগঠনিক শক্তিতে বিজেপির বীরভূম জেতা সম্ভব নয়, এমনই জানালেন দুধকুমার মন্ডল। প্রাক্তন আইপিএস দেবাশিস ধরের নাম বীরভূমের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণার পরেই এমন প্রতিক্রিয়া দিলেন দুধকুমার। এবারেও বিজেপির প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে ছিলেন দুধকুমার। গত কয়েকমাস ধরেই জল্পনা চলছিল। তাঁর অনুগামীরা দেওয়াল লিখনেও নেমে পড়েছিলেন। দীর্ঘদিন পর দলীয় কর্মসূচিতেও অংশ নিতে আরম্ভ করেছিলেন দুধকুমার। তিনি টিকিট না পাওয়ায়, প্রবল ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে অনুগামীদের মধ্যে। দুধকুমার নিজেও ক্ষোভের সুরে বলেন, বীরভূমের মানুষের আশা ছিল পুরনো কাউকে প্রার্থী করা হবে। দেবাশিসকে কেউই চেনেনই না, তাঁকে কিছু বলার সুযোগ থাকবে না বলেও জানান দুধকুমার। এহেন মন্তব্যে প্রবল অস্বস্তি বেড়েছে পদ্ম-পরিবারের অন্দরে।
উল্লেখ্য, প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিলেন দুধকুমারবাবু। তাঁর অনুগামীরাও নিশ্চিত ছিলেন। শনিবার রাতে ওই কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে প্রাক্তন আইপিএস দেবাশিস ধরের নাম ঘোষণা করে বিজেপি। দুধকুমারের দাবি, তাঁর কাছে খবর এসেছিল, তিনি লড়াইয়ের জন্য মানসিক প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। নতুন প্রার্থীকে ঘিরে দুধকুমারের অনুগামী ও বিজেপির আদি কর্মীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। যাঁরা দলের জন্য লড়াই করেন, তাঁদের কেন উপেক্ষা করা হবে? সরকারি আমলাকে কর্মীদের মাথার উপর কেন চাপিয়ে দেওয়া হবে? প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। এমন হলে সংগঠন করার লোক পাওয়া যাবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দুধকুমার। কর্মীরা আদৌ মাঠে নামবেন কিনা, তা নিয়ে সংশয় ঘনীভূত হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই যা মাথাব্যথা বাড়াচ্ছে গেরুয়া-নেতৃত্বের।