লোকসভা নির্বাচনের আগে পুরোদমে জনসংযোগে ব্যস্ত প্রার্থীরা। রবিবার কান্দিতে প্রচারে নেমে বিপুল জনজোয়ারে ভাসলেন বহরমপুর কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ইউসুফ পাঠান। রোজা রেখে প্রখর রৌদ্রে প্রায় চার কিলোমিটার হাঁটলেন বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার। এদিন সকাল ১১টা নাগাদ কান্দি শহরের ড্যাড্যাং মন্দির থেকে তিনি ভোট প্রচার শুরু করেন। মুর্শিদাবাদ-বহরমপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অপূর্ব সরকার-সহ স্থানীয় নেতৃত্বরা মিছিলে পা মেলান। কান্দি পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ড চষে ফেলেন ইউসুফ। নাপিতপাড়া, তাঁতিপাড়া, মঠতলা হয়ে আদিরাপাড়া, শালতলা হয়ে বিবেকানন্দ মূর্তিতে মালা দেন। দুর্গামন্দির, ঘোষপাড়া, গৌরতলা, বিপ্লব সঙ্ঘ হয়ে মোল্লাপাড়া পার্কের কাছে প্রচার শেষ করেন তিনি। রবিবারের প্রচারে তৃণমল কংগ্রেস প্রার্থীকে ঘিরে কার্যত জনারণ্যের সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তার দু’পাশে লাইন দিয়ে বাসিন্দারা প্রার্থীকে উৎসাহিত করেন, প্রার্থীরা হাসিমুখে জোরহাত করে নমস্কার করেন। নিজেও ছুটে গিয়েছেন মানুষের কাছে। বাচ্চাদের সঙ্গে ক্যারাম বোর্ডে স্ট্রাইকার ধরেছেন। ঘনঘন সেলফি তুলেছেন রাস্তার দুইপাশে বাসিন্দাদের সঙ্গে।
পাশাপাশি, আদিরাপাড়ায় একদল বালক প্রার্থীকে দেখার জন্য দীর্ঘক্ষণ ধরে অপেক্ষা করছিল। তাদের দেখতে পেয়েই দ্রুত ছুটে যান ইউসুফ। পাশে বসে গল্প শুরু করেন। যা দেখে রীতিমতো অভিভূত আমজনতা। ইউসুফ বলেন, কান্দিতে আসার দিন থেকেই যেভাবে মানুষের ভালোবাসা তিনি পাচ্ছেন, তা ভোলার নয়। মানুষের ভালোবাসা পেয়ে তিনি ধন্য। তিনি আরও বলেন, খেলার মাঠ হোক বা রাজনীতির। সবক্ষেত্রেই কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। রাজনীতিতেও তিনি যদি মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারি, তবে আনন্দ পাবেন। মানুষের প্রত্যাশা পূরণের চেষ্টা করবেন বলেও জানান তিনি। ইউসুফ অপূর্ব সরকার, হুমায়ুন কবীর, আবু তাহের খানকে দেখিয়ে বললেন, এঁরাই তাঁর টিমে সৌরভ, শচীন, সেহবাগ। মানুষের ভালোবাসার প্রতিদান দেওয়াই তাঁর লক্ষ্য, লক্ষ্য সার্বিক উন্নয়ন। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অপূর্ব সরকার বলেন, রাজনীতির ময়দানে টিম স্পিরিটই আত্মবিশ্বাসী করেছে।আপাতত বাড়িতে যাচ্ছেন ইউসুফ। মনোনয়নের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে ৩রা এপ্রিল ফের কলকাতায় ফিরবেন। ৪ঠা এপ্রিল থেকে ফের প্রচার শুরু করবেন বলে জানিয়েছে তৃণমূল সূত্র।