লোকসভা নির্বাচনের পাশাপাশিই বাংলায় দুটি বিধানসভা কেন্দ্রে হবে উপনির্বাচন। প্রসঙ্গত, বরানগর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রার্থী করেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। প্রার্থী হিসাবে নাম ঘোষণা হওয়ার পরের দিনই নিজের নির্বাচনী এলাকায় প্রচারে নামলেন সায়ন্তিকা। এদিন প্রচারে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নকে হাতিয়ার করার পাশাপাশি প্রতিপক্ষ বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ জানালেন তিনি। বললেন, “বিরোধী প্রার্থী যত বেশি শক্তিশালী হবেন, রাজনৈতিক ময়দানে লড়াই করতে তত বেশি ভালো লাগবে।” শনিবার বিকেলে নিজের কেন্দ্র বরানগরের টপিন রোড সংলগ্ন সেবা সংঘ ক্লাবে দলীয় নেতা কর্মী-সহ সংগঠকদের সঙ্গে পরিচয় পর্ব সারেন সায়ন্তিকা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী সুজিত বসু, দমদম কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায়, বারাকপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিক-সহ পুরসভার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান একাদিক কাউন্সিলর-সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।
স্বাভাবিকভাবেই, এদিন তারকা প্রার্থীকে ঘিরে দলের কর্মী সমর্থকদের উচ্ছ্বাস ও উদ্দীপনা ছিল তুঙ্গে। দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎপর্ব সেরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সায়ন্তিকা বলেন, “বিরোধী প্রার্থী যত বেশি শক্তিশালী হবেন, রাজনৈতিক ময়দানে লড়াই করতে তত বেশি ভালো লাগবে। যারা আমার বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রমণ করছে তাদের দলের আদর্শই হয়তো এটা। তারা হয়ত মনে করে ব্যক্তিগত আক্রমণ করলেই রাজনৈতিক ভাবে শক্তিশালী হওয়া যায়। আমরা এই শিক্ষা পাইনি। তাই আমি বা আমাদের নেতৃত্বরা ব্যক্তিগত আক্রমণ করে না। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন নিয়েই কথা বলি।” বিগত ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে প্রথমবার টিকিট পান সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাঁকুড়া বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী হয়েছিলেন। বিজেপি প্রার্থী নীলাদ্রিশেখর দানার কাছে হেরে যান। তবে ভোটে হারলেও জমি আঁকড়ে বাঁকুড়ায় পড়েছিলেন তিনি। অভিনেত্রীকে সাংগঠনিক দায়িত্ব দেওয়া হয়। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক করা হয়। এবার বিধানসভা উপনির্বাচনে বরানগর থেকে লড়তে চলেছেন তিনি।