সম্প্রতিই দেশজুড়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর করেছে মোদী সরকার। তারপর থেকেই বিতর্কের ঝড় উঠেছে একাধিক মহলে। দেশের বিভিন্ন স্থানে শুরু হচ্ছে প্রতিবাদ। সিএএ-তে মিলছে না নিঃশর্ত নাগরিকত্ব। বিজেপির বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন মতুয়ারা। কার্যত ঘুম ছুটেছে গেরুয়া-নেতাদের। আর ভোটের আবহেও সেই চিত্র ধরা পড়েছে। তৃণমূলের সভা, মিটিং, মিছিলে মতুয়াদের উপস্থিতি বাড়ছে। শুক্রবার ছিল গুড ফ্রাইডের ছুটি। প্রচার সারলেন বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস। বনগাঁ শহরের এক নম্বর রেলগেট থেকে বাটার মোড় হয়ে থানার সামনে দিয়ে মতিগঞ্জ ঘড়ির মোড় অবধি তাঁর সমর্থনে মিছিল আয়োজিত হয়। একটি পথসভারও আয়োজন করা হয়েছিল। জোড়াফুল প্রার্থী জানান, বুথ সভাপতি থেকে লড়াই করে জেলা সভাপতি হয়েছেন। মানুষের পাশে থেকেছেন। তিনবারের বিধায়ক ছিলেন। এবার তাঁকে বড় জায়গায় কাজ করবার সুযোগ দিয়েছেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিশ্বজিৎ দাস জানান, মানুষের আশীর্বাদ নিয়ে আগামী দিনে এগিয়ে যেতে চান। তিনি আরও বলেন, “গত পাঁচ বছরে মানুষের কাছে আসেননি সাংসদ। করোনা, আমফানের সময় মানুষ তাঁকে পাশে পাননি। আগামী দিনে বনগাঁর মানুষ এর জবাব দেবেন।” বনগাঁ লোকসভার কোনও বিধানসভা বিজেপি জিততে পারবে না বলে দাবি করেন তৃণমূল প্রার্থী। তৃণমূলের মিছিলে হাজির হয়েছিলেন মতুয়া সম্প্রদায়ের বহু মানুষজন। গাজন সন্ন্যাসীরা ঢাকের তালে মিছিলে অংশ নেন। মিছিল শেষে সভায় বক্তব্যে সিএএ প্রসঙ্গে সুর চড়িয়ে রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর বলেন, সিএএ ভাঁওতায় চব্বিশের ভোট হবে। মিছিলকে চৌঠা জুনের বিজয় মিছিল বলেও আখ্যা দেন সারা ভারত মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি। বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরকে মোদীর ‘তাঁবেদার’ বলে আক্রমণ করেন বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠ। সবমিলিয়ে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে মতুয়া-কাঁটা মাথাব্যথা হয়ে উঠেছে পদ্ম-নেতৃত্বের কাছে।