আবগারি মামলায় গত ২১ মার্চ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাসভবনে তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি। তার পর রাতে তাঁকে গ্রেফতার করে তারা। আগেই এই গ্রেফতারি ‘বেআইনি’ বলে দাবি করেছে আম আদমি পার্টি (আপ)। শুক্রবার দিল্লির মন্ত্রী তথা আপ নেত্রী অতিশী মারলেনা ইডির বিরুদ্ধে আরও মারাত্মক অভিযোগ করলেন। তাঁর দাবি, কেজরিওয়ালের মোবাইল ফোন খুলে লোকসভা ভোটে আপের কৌশল সম্পর্কে ঘেঁটে বিশদে জানতে চাইছে ইডি। অতিশী জানান, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কেজরিওয়ালের যে ফোনটি ঘেঁটে দেখতে চাইছে, সেটি মাত্র কয়েক মাসের পুরনো। যখন দিল্লিতে নতুন আবগারি নীতি কার্যকর করা হয়েছিল, সে সময় আপ প্রধানের এই ফোন ছিল না।
অতিশীর কথায়, ‘আসলে ইডি নয়, কেজরিওয়ালের ফোনে কী আছে, তা জানতে চায় বিজেপি। কারণ এই ফোনেই লোকসভা ভোটে আপের কৌশল, প্রচার পরিকল্পনা, বিজেপি বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার নেতাদের সঙ্গে বিভিন্ন আলোচনা সংক্রান্ত তথ্য রয়েছে। বিজেপি সেই সব তথ্যই জানতে চাইছে।’ আপ নেত্রীর অভিযোগ, সেই কাজে ইডিকে ব্যবহার করছে পদ্মশিবির। এদিকে, সাত দিনের ইডি হেফাজতের মেয়াদ শেষে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করানো হয়েছিল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে। আদালত আগামী ১ এপ্রিল পর্যন্ত তাঁকে ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
শুনানির সময় নিজের পক্ষে বলতে গিয়ে কেজরি বলেন, ‘ইডির রিম্যান্ডের আবেদনের বিরোধিতা করছি না। ওরা যত দিন চায়, আমাকে হেফাজতে রাখতে পারে। কিন্তু, এটা একটা দুর্নীতি। এতে ইডির দু’টি উদ্দেশ্য। এক, আপকে ভেঙে দেওয়া। দুই, আড়ালে তোলাবাজির চক্র চালানো।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইডি বলছে, আবগারি দুর্নীতিতে ১০০ কোটি টাকা নয়ছয় হয়েছে। তা হলে সেই টাকা কোথায় গেল? আসল দুর্নীতিটা শুরু হয়েছে ইডির তদন্ত শুরু হওয়ার পর। আমাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কোনও আদালতে আমাকে অপরাধী প্রমাণ করা যায়নি। সিবিআই ৩১ হাজার এবং ইডি ২৫ হাজার পৃষ্ঠার চার্জশিট দিয়েছে। সেগুলি পড়েও আমাকে গ্রেফতার করার কোনও কারণ খুঁজে পাওয়া যাবে না।’