কর্মজীবন শেষে যাঁরা পিএফে জমানো টাকা এককালীন তুলে নিতে চাইছেন, মোদী জমানায় বেজায় বিপাকে পড়তে হচ্ছে তাঁদের। বেসরকারি সংস্থার সাধারণ কর্মচারীদের জমানো এই পিএফের টাকার দেখভাল করে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন বা ইপিএফও। তাদের দপ্তরের নিজস্ব হিসেব বলছে, কর্মজীবন শেষে পিএফে জমানো টাকা এককালীন তুলে নিতে চাইছেন, এরকম প্রত্যেক তিনজনের মধ্যে একজনের আবেদন খারিজ করে দেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি এতটাই উদ্বেগজনক যে সমস্যার আশু সুরাহা চেয়ে দপ্তরকে আবেদন করেছেন পিএফের কেন্দ্রীয় অছি পরিষদের সদস্যই।
দপ্তরের খবর, ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে যতজন পিএফ গ্রাহক এককালীন টাকা তোলার আবেদন করেছিলেন, তার মধ্যে ১৩ শতাংশের আবেদন খারিজ হয়েছিল। পরের বছর, অর্থাৎ ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে এই আবেদন খারিজের হার ছিল ১৮ শতাংশ। পরবর্তী দু’টি অর্থবর্ষে সেই হার বেড়ে হয় যথাক্রমে ২৪ ও ৩১ শতাংশ। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে তা ৩৫ শতাংশে পৌঁছয়। তথ্য বলছে, গত অর্থবর্ষ, অর্থাৎ ২০২২-২৩ সালে মোট ৭৩ লক্ষ ৮৭ হাজার ব্যক্তি তাঁদের জমানো টাকা তুলে নেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৩৩.৮ শতাংশের আবেদন খারিজ করেছে দপ্তর।
জানা গিয়েছে, কেওয়াইসি ও পাসবই সংক্রান্ত সমস্যা, ব্যাঙ্কের সঙ্গে যথাযথভাবে অ্যাকাউন্টের সংযোগ না থাকা, ইউনিভার্সাল অ্যাকাউন্ট নম্বর সংক্রান্ত সমস্যা বা অনলাইনে ঠিকঠাক আবেদন না হওয়ার কারণে সাধারণ গ্রাহকের হকের টাকা মেটাচ্ছে না পিএফ কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে পিএফের কেন্দ্রীয় অছি পরিষদের সদস্য শিবপ্রসাদ তেওয়ারি বলেন, ‘আমি শ্রমিক সংগঠন টিইউসিসির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। বহু মানুষ পিএফের ব্যাপারে সমস্যায় পড়লে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সেই সূত্রে দেখতে পাচ্ছি, চাকরি থেকে অবসর নিয়ে অনেকেই পিএফের টাকা তুলতে সমস্যায় পড়ছেন। তাঁরা নিয়ম অনুযায়ী অনলাইনে আবেদনও করছেন। কিন্তু তুচ্ছ কোনও কারণে হয় টাকা পেতে অস্বাভাবিক দেরি হচ্ছে। অথবা আবেদন খারিজ করে দেওয়া হচ্ছে।’