লোকসবা নির্বাচনের আগে ফের বড়সড় ধাক্কা খেল দেশের শাসকদল বিজেপি। প্রসঙ্গত, প্রার্থীতালিকা ঘোষণার পর থেকেই যেন ক্রমশ দিশাহারা হয়ে পড়ছে পদ্মশিবির। দিকে দিকে মাথাচাড়া দিচ্ছে দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্ব। দল ছাড়ার হিড়িক পড়ে গিয়েছে। পাশাপাশি একের পর এক নেতা সরে দাঁড়াচ্ছেন ভোট থেকে। এবার খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্যেও ধরা পড়ল একই চিত্র। গুজরাতে ভোটের ময়দান থেকে সরে দাঁড়ালেন দুই বিজেপি প্রার্থী। ভদোদরার বর্তমান বিজেপি সাংসদ রঞ্জনবেন ভাট এবং সবরকান্থার প্রার্থী ভিকাজি ঠাকোর, দু’জনেই সমাজ মাধ্যমে নিজেদের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। ব্যক্তিগত কারণ দেখালেও, রাজনীতির কারবারিদের মত, এতে বিজেপির দলীয় কোন্দল বেআব্রু হয়ে পড়েছে। মোদী-অমিত শাহের রাজ্যে বিজেপির অস্বস্তিতে বাড়ছে। রঞ্জনবেনের প্রার্থীপদ ঘোষণার পরই দলের অন্দরের কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসে।
প্রসঙ্গত, ভদোদরার প্রাক্তন মেয়র এবং বিজেপির জাতীয় মহিলা শাখার সহ-সভানেত্রী জ্যোতিবেন পান্ডিয়া রঞ্জনবেনের মনোনয়নের বিরোধিতা করেন। ভদোদরার উন্নয়নে রঞ্জনবেনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। তারপরই ১৪ই মার্চ জ্যোতিবেনকে বিজেপি সমস্ত পদ থেকে বরখাস্ত করে। কিন্তু তাতেও সামলানো যায়নি ক্ষোভ। ভদোদরার সাভলি কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক ইমেল মারফত বিধানসভা স্পিকারের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সিআর পাতিলের সঙ্গে বৈঠকের পর পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করেন বিধায়ক। অন্যদিকে, ভদোদরায় রঞ্জনাবেনের বিরুদ্ধে পোস্টার অভিযান শুরু হয়। ভদোদরার প্রতি বিজেপি নেতৃত্বের উদাসীনতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয় পোস্টারে। লেখা হয়, ‘বিজেপি সাফল্যের নেশায় এতটাই বুঁদ যে, যাকে খুশি প্রার্থী করবে?’ শনিবার নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানান রঞ্জনবেন। সবরকান্থাতেও বিজেপির দলীয় কোন্দলের প্রভাব পড়েছে। মনে করা হচ্ছে, সেই জন্যেই ওই আসনের প্রার্থীকে সরতে হল। বিজেপি জানিয়েছে, দুই আসনে নতুন প্রার্থীদের নাম শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে। স্বাভাবিকভাবেই ভোটের প্রাকলগ্নে এহেন পরিস্থিতি সামাল দিতে নাভিশ্বাস উঠেছে বিজেপি নেতৃত্বের।