কর্ণাটকে তুঙ্গে পৌঁছেছে জলসংকট। সামনেই হোলি। এমতাবস্থায় কড়া পদক্ষেপের পথে হাঁটল প্রশাসন। জলের যথেচ্ছ ব্যবহার করা যাবে, স্থানীয় প্রশাসন আগেই জানিয়ে দিয়েছিল। এবার হোলিতেও জলের যথেচ্ছ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল। কাবেরী নদী থেকে সরবরাহ করা জল এবং নলকূপের জল যাতে শহরবাসীরা ব্যবহার না করেন, তাই আগেভাগেই তাঁদের জানিয়ে সতর্ক করে দেওয়া হচ্ছে প্রশাসনের তরফে। রঙের উৎসব মানেই ‘পুল পার্টি’, নাচ-গান ইত্যাদি। জলেরও যথেচ্ছ ব্যবহার হয়। কিন্তু বেঙ্গালুরু জুড়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যে জলসংকট দেখা দিয়েছে, হোলির কারণে সেই সংকট যেন আরও সংকটময় না হয়ে ওঠে তার জন্যই শহরবাসীকে সতর্ক করে দওয়া হয়েছে।
এছাড়া, কদিন পরেই আইপিএল। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে খেলার দিনগুলিতে ৭৫ হাজার লিটার জল লাগবে বলে জানিয়েছে ব্যাঙ্গালোর ওয়াটার সাপ্লাই অ্যান্ড সিউয়ারেজ বোর্ড। ফলে এই জলসঙ্কটের পরিস্থিতিতে সেই অবস্থা সামাল দিতেও হিমশিম খেতে হতে পারে প্রশাসনকে। বেঙ্গালুরু জল বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, হিন্দুদের একটি বড় উৎসব হোলি। বাড়িতে এই উৎসব পালন করলে কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু বাণিজ্যিক কারণে বিশাল বড় পার্টির আয়োজন করে সেখানে দেদার জলের ব্যবহার করে রঙের উৎসব পালন করা যাবে না। শহরের প্রায় দেড় হাজার নলকূপের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি শুকিয়ে গিয়েছে। ফলে জলসঙ্কটের পরিস্থিতি তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে। যেখানে নিত্য দিনের জলের জন্য শহর জুড়ে হাহাকার পড়ে গিয়েছে, সেই অবস্থায় রঙের উৎসবে যথেচ্ছ জলের ব্যবহারে কড়াকড়ি করতে চাইছে প্রশাসন। প্রতি দিন ৫০ কোটি লিটার জলের ঘাটতি হচ্ছে শহরে, সূত্র অনুযায়ী জানা গিয়েছে এমনটাই।