বিকশিত ভারতের বার্তা পাঠানো বন্ধ করুন। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ), কেন্দ্রকে নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের পক্ষ থেকে নাগরিকদের ফোনে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে এই বার্তা পাঠানো হচ্ছিল। এদিন মন্ত্রককে অবিলম্বে এই বিকশিত ভারতের বার্তা পাঠানো বন্ধ করতে বলেছে কমিশন। কমিশন আরও জানিয়েছে, এই বিষয়ে তাদের কাছে অজস্র অভিযোগ এসেছে। লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা, অর্থাৎ, আদর্শ আচরণবিধি চালু হয়ে যাওয়ার পরও নাগরিকদের ফোনে এই ধরনের বার্তা আসছে। বার্তায় মোদী সরকারের সাফল্যগুলি তুলেধরা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের এই নির্দেশের জবাবে, ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক জানিয়েছে, আদর্শ আচরণবিধি চালু হওয়ার আগেই এই বার্তাগুলি পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু কিছু বার্তা ‘সম্ভবত সিস্টেমিক এবং নেটওয়ার্ক’ সমস্যার কারণে নাগরিকদের কাছে দেরিতে পৌঁছেছে। কমিশন বারবারই বলেছে, আসন্ন লোকসবা নির্বাচনে যাতে সকল রাজনৈতিক দল নির্বাচনে লড়ার জন্য সমান প্ল্যাটফর্ম পায়, কেউ বাড়তি সুযোগ-সুবিধা না পায়, তা নিশ্চিত করবে তারা। সেই লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ করল কমিশন বলে মনে করা হচ্ছে। গত কয়েক দিনে কমিশনকে এই ধরনের আরও বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিতে দেখা গিয়েছে।
হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো বিকশিত ভারতের বার্তার সঙ্গে সংযুক্ত থাকে একটি পিডিএফ ফাইল। এই ফাইলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর একটি চিঠি থাকে। চিঠিতে নরেন্দ্র মোদী বিকশিত ভারত গঠনের জন্য জনসাধারণের পরামর্শ চেয়েছেন। সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, আয়ুষ্মান ভারত, মাতৃ বন্দনা যোজনা এবং আরও অনেক সরকারি প্রকল্পের কথা তুলে ধরা হয়েছে। সরকারী প্রকল্পগুলি এবং নীতি সম্পর্কে নাগরিকদের প্রতিক্রিয়া চাওয়া হয়েছে। কিন্তু, কংগ্রেসের অভিযোগ, এই বার্তা আদতে সরকারি অর্থে ‘রাজনৈতিক প্রচার’। কংগ্রেসের কেরল শাখা রাজনৈতিক প্রচার সংক্রান্ত হোয়াটসঅ্যাপের নীতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে।