পেশায় ভোজপুরী সংগীতশিল্পী তিনি। ২০২২ বিধানসভা নির্বাচনের সময় ‘ইউপি মে কাওয়া’ গানটি গেয়ে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়েছিলেন। আর এবারের লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর থেকেই চর্চায় রয়েছে সেই নেহা সিং রাঠোরের নাম। কংগ্রেসের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে দেখা হচ্ছে তাঁকে। কোন আসন থেকে তিনি প্রার্থী হবেন, কার বিরুদ্ধে লড়বেন, এই সব নিয়েই এখন জল্পনা তুঙ্গে। একটি সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, দিল্লির একটি আসন থেকে লোকসভায় ডেবিউ করতে পারেন নেহা সিং রাঠোর। তিনি মুখোমুখি হতে পারেন বিজেপির দাপুটে নেতা তথা উত্তর পূর্ব দিল্লির বর্তমান সাংসদ মনোজ তিওয়ারির। এ প্রসঙ্গে সরাসরি তাঁকে প্রশ্ন করা হলে সংবাদমাধ্যমে নেহা রাঠোর বলেন, ‘কংগ্রেস যদি সত্যিই আমায় লোকসভার টিকিট দেওয়ার কথা স্থির করে থাকে, তবে আমি বিষয়টি বিবেচনা করব।’
প্রসঙ্গত, নেহার ইন্ডাস্ট্রির গায়ক পবন সিংকে বিজেপি লোকসভার টিকিট দেওয়া নিয়ে কার্যত ফুঁসে উঠেছেন নেহা। তিনি বলেন, ‘আমি আদ থেকে তিন-চার বছর আগে ভোজপুরী বাঁচাও আন্দোলন শুরু করেছিলাম। একটি পুরনো গানের একটি ডায়েরি রেকর্ড তৈরি করছি, যা আমাদের অগ্রদ শিল্পীরা ৩০-৪০ বছর ধরে গেয়েছেন। ভোজপুরীকে আরও জনপ্রিয় করে তুলতে আমি পরিচ্ছন্ন কথার গান লিখছি। ইদানিং উস্কানিমূলক এবং অশ্লীল ভোজপুরী গান গাওয়া হয়। এর বিরুদ্ধেই আমি আন্দোলন শুরু করেছি। সেই সমস্ত মানুষগুলোর বিরুদ্ধে আমার লড়াই যারা সংসদে বসে প্রতিনিধিত্ব করছেন আর এদিকে লেহঙ্গা উঠা দেব রিমোট সে অথবা ফটাফট খোলকে দেখাও জাতীয় গানগুলি লিখেছেন। এই ধরণের মানুষগুলোকে যখন লোকসভার টিকিট পেতে দেখছি তখন আমার লড়াইটা আরও স্বার্থক মনে হচ্ছে। এটাই আমার লড়াই। এই ধরণের মানুষরা ভোজপুরীকে অসম্মানিত করছে। সংসদটা কোনও অর্কেস্ট্রা বা ডিজে বাজানোর জায়গা নয়। ওটা একটা সম্মানীয় স্থান।’