কার্যত দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। এর মধ্যেই ফের উত্তাল হল বাংলার রাজনৈতিক মহল। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে। এবার রাজ্যে দুই মন্ত্রী-সহ তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে ইডি পাঠানোর হুমকি দিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক, এমনটাই অভিযোগ করল তৃণমূল। ‘‘এবার বাড়িতে ইডি পাঠানোর হুমকি দিলেন দুর্গাপুরের বিজেপি বিধায়ক। ইডি, সিবিআই-সহ একাধিক কেন্দ্রীয় সংস্থাকে যে ভারতীয় জনতা পার্টি পুরোপুরি নিজেদের বশবর্তী করে ফেলেছে, তার প্রমাণ পাওয়া গেল আরেকবার। কারখানায় নিয়োগ নিয়ে তোপ দাগলেন দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘোড়ুই। রাজ্যের দুই মন্ত্রী মলয় ঘটক ও প্রদীপ মজুমদারের বাড়িতে সরাসরি ইডি পাঠানোর হুমকি দিয়েছেন তিনি। বিজেপি নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয়েই কি নিজেদের পোষা পেশিশক্তিকে ব্যবহার করে এই রকমের ঔদ্ধত্য আর জমিদারি মনোভাব? নির্বাচন কমিশন আপনারা কি দেখতে পাচ্ছেন?’’, মঙ্গলবার এমনই লেখা হয় সর্বভারতীয় তৃণমূলের এক্স হ্যান্ডলে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সোমবার দুর্গাপুরের সগরভাঙা এলাকার একটি বেসরকারি কারখানায় স্থানীয়দের বাদ দিয়ে বহিরাগতে নিয়োগের অভিযোগ এনে একটি মিছিল করেন দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক। এই নিয়োগে শাসকদলের শীর্ষ নেতা-মন্ত্রীদের যুক্ত থাকার অভিযোগও করেন তিনি। লক্ষ্ণণ বলেন, ‘‘কারখানার আইএনটিটিইউসির নেতা শেখ রমজান মন্ত্রী মলয় ঘটকের সাহায্যে কারখানায় রাতের অন্ধকারে তৃণমূল কর্মীদের ঢোকাচ্ছেন। মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার সাদা পোশাক পরে এই কারখানায় ১০ জনকে কাজে বহাল করিয়েছেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘গরু, কয়লা, বালির কারবার-সহ বেআইনি নিয়োগের মাধ্যমে প্রচুর টাকা কামাচ্ছেন, তাঁদের বাড়িতে এ বার ইডি সিবিআই পাঠানো হবে। রোজগারের উৎসব দেখবে ইডি।’’ বিজেপি বিধায়কের এমন মন্তব্যকে হাতিয়ার করে বিজেপির বিরুদ্ধে ভোটের ময়দানে নেমে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির অপব্যবহার করার অভিযোগ এনেছে তৃণমূল। তবে এই অভিযোগের জবাব পেতে বিধায়ক লক্ষ্মণকে একাধিকবার ফোন করা হলেও, ফোন ধরেননি তিনি। স্বাভাবিকভাবেই বিতর্কের ঝড় উঠেছে একাধিক মহলে।