প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর গলায় ফের ধরা পড়ল বিপরীত সুর। যার ফলে ভোটের আগে দ্বিধাবিভক্ত কংগ্রেস ও প্রদেশ কংগ্রেস শিবির। প্রসঙ্গত, বাংলায় সাত দফায় লোকসভা ভোট হবে, এমনই জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। মোদী সরকারের সমালোচনায় সরব রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। একই সুরে সরকারকে বিঁধেছেন বিরোধীরা। প্রচারে বিজেপিকে সুবিধা করে দিতেই নির্বাচন কমিশন এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে বলে তোপ দেগেছেন কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র জয়রাম রমেশ। “তামিলনাড়ুতে মোট আসন ৩৯। সেখানে একদিনে ভোটগ্রহণ। অথচ বাংলায় আসন সংখ্যা ৪২ হলেও তার জন্য বরাদ্দ সাত দফা! নির্বাচন কমিশন নিজেদের নিরপেক্ষ বলে। তারা কেন্দ্রের শাসকদলকে সুবিধা করে দিচ্ছে। তীব্র গরমের মধ্যে বাংলা, উত্তরপ্রদেশ ও বিহারে জুন পর্যন্ত ভোট চলবে। গরমে ভোটের হার কম করে বিজেপিকে সুবিধা করে দিতেই কি কমিশন এমনটা করল?”, প্রশ্ন তোলেন কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র।
পাশাপাশি, একেবারেই উল্টো সুর শোনা গিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর গলায়। তাঁর অভিযোগ, হিংসা করার জন্য একদিনে নির্বাচন চেয়েছিল তৃণমূল। রাজ্য পুলিশ নির্বিঘ্নে ভোট করাতে পারবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। তিনি আরও বলেন, আমরা একাধিক ধারায় ভোট চেয়েছিলাম। আগাম বাহিনী মোতায়েনেও খুশি তিনি। কার্যত কংগ্রেস নেতাদের বক্তব্যের সঙ্গে আকাশ-পাতাল পার্থক্য প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি। বাংলায় ইন্ডিয়া জোট ভেস্তে গিয়েছে অধীর চৌধুরীর জন্যেই, এমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের।