দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর সিএএ পাশ করিয়েছিল কেন্দ্রের মোদী সরকার। অবশেষে বিল থেকে আইনে পরিণত হওয়ার প্রায় সাড়ে চার বছর পরে সোমবার দেশে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) জারি করার কথা জানিয়েছে তারা। যা নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে দেশের বিরোধীরা। সেই দলে রয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও।
তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন, ভারতের নাগরিকদের বঞ্চিত করে পাকিস্তান, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ থেকে চলে আসা ব্যক্তিদের স্বার্থরক্ষায় কেন এত তৎপর কেন্দ্র? আপ সুপ্রিমোর সেই মন্তব্যের প্রতিবাদে এবার আন্দোলনে নেমেছেব ওই তিন দেশ থেকে আসা হিন্দু এবং শিখ শরণার্থীরা। অবিলম্বে কেজরীর ক্ষমাপ্রার্থনার দাবি তুলেছেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার কেজরির দিল্লির বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখান কয়েক হাজার হিন্দু ও শিখ জনতা। শুক্রবারও হল বিক্ষোভ। যদিও সেই বিক্ষোভকে আমল না দিয়ে গতকালই কেজরি এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘আজ কিছু পাকিস্তানি আমার বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন এবং হট্টগোল করেছেন। দিল্লি পুলিশ তাদের পূর্ণ সমর্থন ও সুরক্ষা দিয়েছে। বিজেপি মদত জুগিয়েছে। তারা এতটাই সাহস পেয়েছে যে দিল্লির জনগণের দ্বারা নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমাপ্রার্থনা দাবি করছে!’