‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ নিয়ে বিরোধী দলগুলি আগেই আপত্তি তুলে বলেছিল, লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে সমস্ত রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন করানো অসাংবিধানিক। তা সত্ত্বেও আজ প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’-এর পক্ষেই সুপারিশ করেছে।
কোবিন্দ কমিটির বক্তব্য, মোট ৩২টি রাজনৈতিক দল লোকসভা ভোট ও রাজ্যগুলির বিধানসভা ভোট একসঙ্গে করা বা ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’-এর পক্ষে সায় দিয়েছে। এর মধ্যে ২৬টি দলই বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র শরিক। মোট ১৫টি রাজনৈতিক দল ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’-এর বিরুদ্ধে মত দিয়েছে। এই ১৫টি দলের মধ্যে ১০টি দলই বিরোধীদের জোট ইন্ডিয়া-র শরিক।
কংগ্রেস আজও অভিযোগ তুলেছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ‘এক দেশ, শূন্য নির্বাচন’ চাইছেন। দলের প্রধান মুখপাত্র জয়রাম রমেশের অভিযোগ, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য খুবই স্পষ্ট। উনি লোকসভায় দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা চাইছেন। সেই কারণেই তিনি ৪০০ আসনের লক্ষ্য স্থির করেছেন। তবে ঝোলা থেকে বেড়াল বেরিয়ে পড়েছে। বিজেপি আসলে বাবাসাহেব অম্বেডকরের সংবিধান পুরোপুরি ধ্বংস করে দিতে চাইছে। তার একটাই লক্ষ্য, দেশে আর কোনও নির্বাচন হবে না।’
কংগ্রেস থেকে তৃণমূল, সিপিএম থেকে ডিএমকে-র মতো প্রধান বিরোধী দলগুলি লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে সমস্ত রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন আয়োজনের বিরুদ্ধে ছিল। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যে ২৬টি এনডিএ-র শরিক দল ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ চেয়েছে, তারা ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে মিলিত ভাবে ৪৮.৩ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। ‘ইন্ডিয়া’ জোটের যে ১০টি দল এক দেশ, এক নির্বাচনর বিরোধিতা করেছে, তারা মিলিত ভাবে গত লোকসভা ভোটে ৩৫.৯ শতাংশ ভোট পেয়েছিল।