কার্যত দুয়ারে লোকসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই সরগরম রাজনীতির আবহ। ভোটকে পাখির চোখ করে শেষ লগ্নের প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। আজ, রবিবার ব্রিগেডে অনুষ্ঠিত হচ্ছে তৃণমূলের ‘জনগর্জন’ সভা। বিপুল জনসমাগমে ভরে উঠেছে ব্রিগেড মাঠ। লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূলের শক্তি পরীক্ষার বড় মঞ্চ এটি। সেই মঞ্চ থেকেই ফের বিজেপিকে মসনদ থেকে উৎখাত করার ডাক দিলেন তৃণমূল সু্প্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, “আপনারা যদি আমাদের না জেতান তবে গর্জন বেরোবে কোথা থেকে? ওদের ১৮টি আসন দিয়েছিলেন। বিধানসভাকেও কয়েকটা আসন পেয়েছিল। কোনও কাজ করেনি। দিল্লী গিয়ে বলে আসে ১০০ দিনের টাকা দেব না। রাস্তার টাকা দেব না। গ্রামের টাকা দেব না। আবাসনের টাকা দেব না। তাহলে ভোট দেবেন কেন? গ্রামের রাস্তা নেই, বিজেপির ভোট নেই। ১০০ দিনের টাকা নেই। বিজেপির ভোট নেই। গ্রামের মানুষের আবাসন নেই। বিজেপির ভোট নেই। গরীব মানুষের খাবার নেই, বিজেপির টাকা নেই।”
পাশাপাশি, খলিস্তানি ইস্যুতে বিজেপিকে কটাক্ষ করেন মমতা। আবার নাম না করে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কেও তীব্র আক্রমণে বিঁধেছেন তিনি। তিনি বলেন, “চেয়ারে বসেছিল কেউটে। বাইরে বেরিয়ে এসে গোখরো।” এদিন ব্রিগেডের জনগর্জন সভাকে সফল করতে চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখেনি তৃণমূল। এই ব্রিগেড থেকেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হল। প্রার্থী তালিকায় রয়েছে একাধিক চমক। সেখানে একদিকে যেমন প্রাক্তন আইপিএস রয়েছেন তেমনি রয়েছেন অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও। মমতা সেই ব্রিগেড থেকে সব আসনেই প্রার্থীদের জেতানোর আহ্বান করলেন। বললেন, “ব্রিগেডের গর্জন। বিজেপির বিসর্জন। পাড়ায় পাড়ায় গর্জন। বিজেপির বিসর্জন। সংখ্যালঘু ভাইবোন। দিল মে দুঃখ হ্যায় না। মনে রাখবেন আমরা যত দূর সম্ভব প্রার্থী দেওয়ার চেষ্টা করেছি। মনের মতো। দু একজনকে হয়তো দিতে পারিনি। তাদের অন্য় সময় দিয়ে দেব। বিধানসভায় বা অন্যসময় দিয়ে দেব। দেশ কোন পথে চলবে তা তৃণমূল ঠিক করবে।” এখানেই থেমে থাকেননি মমতা। “এটা মানুষের গর্জন। এটা মানুষের তুফান। আমি বলব ব্রিগেডের গর্জন, আপনারা বলবেন বিজেপির বিসর্জন। উত্তরবঙ্গে গর্জন। দক্ষিণবঙ্গেও গর্জন। চারিদিকে গর্জন”, সুর বেঁধে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।