বিরোধীরা আগেই এই অভিযোগ করেছিল, যে মোদী সরকারের নির্দেশেই স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া লোকসভা ভোটের আগে বন্ডের তথ্য প্রকাশ্যে আনতে চাইছে না। কারণ, তা হলে খোলসা হয়ে যাবে বিজেপি কোন শিল্পপতির চাঁদার জোরে ভোটে লড়ছে। তাদের সেই অভিযোগকে সত্যি প্রমাণ করেই এসবিআই ইলেক্টোরাল বন্ডের যাবতীয় হিসেব ও তথ্য ৬ মার্চের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের হাতে তুলে দেয়নি। বদলে সময় চেয়েছে অন্তত ৩০ জুন অবধি! এর পরেই কংগ্রেস ও একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার দাবি, এসবিআইকে ব্যবহার করে বিজেপি বিষয়টাকে ভোটের পরে নিয়ে যেতে চাইছে। এটা আসলে তথ্য গোপন করারই প্রয়াস। কংগ্রেসের সাফ কথা, এই তথ্য সামনে এলে বিজেপি বিপদে পড়ে যাবে। প্রকাশ্যে এসে যাবে তারা কী ভাবে বন্ডের বিনিময়ে তাদের পছন্দের সংস্থাগুলোকে সুবিধা পাইয়ে দিয়েছে।
এর পরেই সুপ্রিম কোর্টে আদালত অবমাননার মামলা করেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। তার শুনানি ১১ মার্চ। অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় সরকারের ‘তথ্য গোপন’-এর এই ‘কৌশল’ নিয়ে যখন চূড়ান্ত বিতর্ক রাজনৈতিক মহলে, তখনই সামনে এসেছে আর একটি বিস্ফোরক তথ্য – ‘ইমার্জেন্সি মেন্টেন্যান্স’-এর জন্য ‘ডাউন’ কেন্দ্রীয় সরকারের আরটিআই পোর্টাল! ৪ মার্চ থেকে শুরু হওয়া সপ্তাহের বেশ ক’দিন সেখানে তাই কিছুই করা যায়নি, বিশেষ করে ইতিমধ্যেই ফাইল হওয়া আরটিআইগুলির বর্তমান স্টেটাস কী, তা সহজে অ্যাকসেস করা যাচ্ছে না। পাশাপাশি, জাতীয় নির্বাচন কমিশন (ইসিআই) -এর ওয়েবসাইটও ‘কাজ করছিল না।’ সেটা অবশ্য আপাতত ঠিক করা হয়েছে। কমিশনের আরটিআই সংক্রান্ত বিষয় তারা নিজেরাই এই সাইটের মাধ্যমে মেন্টেন করে। এই জোড়া ‘ইমার্জেন্সি’ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কেউ-ই মুখ খোলেননি। কমিশনও কোনও বিবৃতি দেয়নি।