দুইজনের মুখে দুইরকমের কথা। আর তাতেই কার্যত সাফ তাঁদের নিজেদেরও অজানা বাংলা থেকে ঠিক কতজন পদ্মপ্রার্থী জনতার ছাড়পত্র পেয়ে সাংসদ হিসাবে দিল্লি যাবেন। আর এই গোলকধাঁধায় পড়ে এখন সব থেকে বেশি অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে বাংলার পদ্মশিবিরের নেতারা।
লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ এখনও ঘোষিত না হলেও, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলার বুকে ভোট প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই তিনি ৩টি জনসভা সেরেও ফেলেছেন। সেই সভা থেকেই তিনি ডাক দিয়েছেন বাংলার জনতাকে রাজ্যের ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রেই পদ্ম ফোটাতে। কিন্তু হঠাৎ করেই সেই আসন সংখ্যার পতন ঘটে গেল।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, বাংলা থেকে চাই ২৫টি আসন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে বঙ্গ বিজেপির নেতারা কার কথা শুনে চলবেন? মোদী না শাহের? নাকি ভোটের মুখে দুইজনের ঠান্ডা যুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে! ওয়াকিবহাল মহলের ধারনা আসলে দুইজনের কারোরই স্পষ্ট ধারনা নেই যে ২৪’র ভোটে বাংলা থেকে ঠিক কটা আসন জুটবে। কেননা যে ৪টি ভোট ব্যাঙ্কের হাত ধরে উনিশের ভোটে বাংলার মাটিতে বিজেপির উত্থান ঘটেছিল, সেই ৪টি ভোট ব্যাঙ্কই হাতছাড়া হয়ে গিয়েছে।
রাজনৈতিক সমীক্ষকদের দাবি, দেশের ৩টি রাজ্য বাংলা, বিহার ও মহারাষ্ট্র নিয়ে পদ্মশিবির সব থেকে বেশি নার্ভাস অবস্থায় রয়েছে। কেননা দলের সমীক্ষাই সেখানে বলে দিচ্ছে, ৩ রাজ্যেই আসন কমতে চলেছে। একই সঙ্গে আসন কমতে চলেছে কর্ণাটকে ও উত্তরপ্রদেশেও। সংশয় থাকছে বিজেপির একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া নিয়েও। আর এই হিসেব-নিকেশে সবচেয়ে বেশি দিশাহারা বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের দুই কর্তা।
জার কথা অমিত শাহ এক বছর আগে সিউড়ির সভা থেকে দাবি করেছিলেন ৩৫টা আসন চাই। এখন তিনিই বলছেন ২৫টা আসন চাই।