সামনেই দেশের লোকসভা নির্বাচন। আর তার আগে রাজনীতির ময়দানের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও বিজেপিকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ তৃণমূল। গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল যুদ্ধেও সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপাচ্ছে বাংলার শাসকদল। প্রসঙ্গত, আগেই জেলা সংগঠনের সঙ্গে আলাদা বৈঠক চলাকালীন এই টিম তৈরির নির্দেশ দিয়েছিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশেষ করে বিজেপি আইটি সেলকে পালটা ইস্যুভিত্তিক আক্রমণ করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। ঠিক হয়েছে, ৪০ জনের টিমে থাকবেন তৃণমূলের মুখপাত্র, সাংসদ, বিধায়ক। প্রত্যেকের দায়িত্ব, বিরোধী রাজনৈতিক দলের সোশাল মিডিয়ায় চোখ রেখে দ্রুত পালটা জবাবের প্রস্তুতি রাখা।
তৃণমূলের একাধিক শীর্ষ নেতা-নেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম-সহ একাধিক শীর্ষ নেতাই দফায় দফায় সামলেছেন কন্ট্রোল রুম। ২০০৯-এর লোকসভা থেকে ২০২১-এর বিধানসভা একাধিক নির্বাচনে তৃণমূল ভবন থেকেই চলেছে নজরদারি। চলেছে দলীয় কর্মীদের বার্তা দেওয়ার কাজ ৷ কিন্তু ভবন সংষ্কারের জন্যে সেখানে এখন কন্ট্রোল রুম নেই। রাজ্যের পঞ্চায়েত ও পুরনিগমের ভোটে নজরদারি চলেছে ভবানীপুরে সুব্রত বক্সীর অফিস থেকে। তবে লোকসভা আগে ফের সরগরম মেট্রোপলিটনের কাছে তৃণমূল ভবন। সেটাই নয়া ওয়ার রুমের ঠিকানা।
জানা গিয়েছে, এই ‘ওয়ার টিম’-এর মূল কাজ, বিজেপির কটাক্ষ, আক্রমণের পত্রপাঠ জবাব দেওয়া সোশ্যাল মিডিয়ায়। কুৎসা, অপমানের তৎক্ষণাৎ মোকাবিলায় মুখের ওপর জবাব দেওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছে বিশেষ টিম। মুখপাত্ররা ছাড়াও এই টিমে সাংসদ, বিধায়ক, কাউন্সিলর-সহ থাকবেন মোট ৪০ জন। তার ব্লুপ্রিন্ট তৈরি হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।এর পাশাপাশি গুয়াহাটি, দিল্লি ও শিলংয়ে থাকবে মুখপাত্ররা। গুয়াহাটিতে থাকবেন সুস্মিতা দেব। শিলং ও তুরায় থাকবেন মুকুল সাংমা। দিল্লিতে থাকবেন সাগরিকা ঘোষ।তৃণমূল ভবনে থাকছে একটা রিসার্চ টিম।