দু’টি পর্যায়ে সাড়ে তিন হাজার একর জমিতে গড়ে উঠার কথা ডেউচা পাঁচামির প্রস্তাবিত কয়লা খনি। কিন্তু এলাকায় কয়লা খনি গড়ার পথে সবচেয়ে বড় বাধা ছিল এলাকায় বসবাসকারী মানুষের আস্থা অর্জন। তবে সরকারি পুনর্বাসন প্যাকেজ ঘোষণা ও প্রশাসনের লাগাতার কাজে ইতিমধ্যেই অনেক জমি দাতা সরকারকে জমি দিয়েছেন। চাকরিও পেয়েছেন ১৮০০-র বেশি জমিদাতার পরিবার মনোনীত সদস্যরা। এবার ডেউচা পাঁচামিতে প্রস্তাবিত কয়লা খনি গড়ার জন্য নোডাল এজেন্সি পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগমকে প্রথম ধাপের জমি হস্তান্তর করল বীরভূম জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার দুপুরে এই হস্তান্তরপর্ব চলে মহম্মদবাজার ভূমি ও ভূমি সংস্কার কার্যালয়ে। প্রশাসন জানিয়েছে, হস্তান্তরের আগে জমির নথিপত্র সব প্রস্তুত করা হয়েছিল।
প্রশাসন সূত্রে খবর, খনি গড়ার জন্য কার্যালয়, পুনর্বাসন দেওয়ার মতো এলাকা ধরে তিনটি মৌজায় ৩৭ একরের মতো জমি এ দিন হস্তান্তর করা হয়েছে। পুনর্বাসনের জন্য গণপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মৌবেলিয়া মৌজায় ২২.২০ একর, চরিরা গ্রাম পঞ্চায়েতের রঘুবরপুরে ১৩.৬০ একর এবং প্রকল্পের দফতর তৈরির জন্য ১.৬ একর জমি দেওয়া হয়েছে আঙ্গারগড়িয়া মৌজায়। প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, প্রথম ধাপে যে অংশে কয়লা উত্তোলনের কাজ শুরু করার কথা, সেই প্রস্তাবিক এলাকার আনুমানিক ৪৩০ একর জায়গা কয়লা উত্তোলনের জন্য গত নভেম্বরেই ঠিক করছে পিডিসিএল। সে জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র ডাকা হবে সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে। বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগম তার আগে এলাকায় প্রকল্পের দফতর-সহ অন্য পরিকাঠামো গড়ে তুলতে চায়। সে জন্য অধিগৃহীত জমির একটা অংশের হস্তান্তর প্রক্রিয়া এ দিনই সম্পন্ন হয়েছে।