ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বাংলার প্রতি দুয়োরানিসুলভ আচরণ অব্যাহত রেখেছে মোদী সরকার। একাধিক বার বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের প্রাপ্যের পর এবার কয়লাখনি বণ্টন সংক্রান্ত বঞ্চনার অভিযোগ উঠল। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। কয়লা খনি বণ্টনের যাবতীয় অনিয়ম ঠেকিয়ে সঠিক পদ্ধতি মেনে কাজ করার কথা ঘোষণা করে তারা। এর জন্য দু’টি অর্ডিন্যান্সও আনা হয়। এর মধ্যে কিছু কয়লা খনি তারা নিলামে তোলে। কিছু কয়লা খনি সরাসরি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে দিয়ে দেয়। অভিযোগ, এক্ষেত্রেও কাকে ক’টা খনি দেওয়া হবে, তা নিয়ে অস্বচ্ছতা হয়েছে। কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নেয়, যদি কোনও কয়লা ব্লক কোনও সংস্থাকে দেওয়া হয়, তাহলে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Coourt) নির্দেশমতো পেনাল্টি মেটাবে খননের দায়িত্ব পাওয়া সংস্থা।
পাশাপাশি, খনির লিজ দেওয়া হয়েছে যাকে, তার পেনাল্টি মেটানোর দায় নেই। আর এই সূত্রে জানা যায়, ৮.৩ কোটি টন কয়লা মজুত আছে, এমন একটি ব্লকের নিলামে পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগমকে অংশ নিতে দেয়নি কেন্দ্র। তাদের অভিযোগ ছিল, রাজ্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগম পেনাল্টি মেটায়নি নির্দিষ্ট সময়ে। তাই তারা নিলামে অংশ নিতে পারবে না। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে প্রশ্ন তুলেছে ক্যাগ। তাদের বক্তব্য, ওই কয়লাখনি মোদী জমানার আগে রাজ্যকে বণ্টন করা হয়েছিল। সেখান থেকে কয়লা খননের লিজ দেওয়া হয়েছিল একটি জয়েন্ট ভেঞ্চার সংস্থাকে। নিয়মমতো পেনাল্টির টাকা মেটানোর কথা তাদেরই, উন্নয়ন নিগমের নয়। অবশেষে সেই খনির সত্ত্ব চলে যায় একটি বেসরকারি সংস্থার হাতে। যার জেরে শেষপর্যন্ত বঞ্চনার শিকার হয় বাংলা। ইতিমধ্যেই এ নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছে একাধিক মহলে।