প্রায় দোরগোড়ায় লোকসভা ভোট। প্রাক-নির্বাচনী আবহে সরগরম বাংলা রাজ্য-রাজনীতি। আজই বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আর সেদিনই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, “আমি দিদি নম্বর ওয়ান নই। আমি বিশ্বের দিদি, সকলের দিদি, ছোট থেকে বড় সকলের দিদি, ঘরে ঘরে সকলের দিদি।” মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুরের সভা থেকে ২০০০ কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। আবাস যোজনা নিয়ে তিনি জানিয়ে দেন, “কয়েকদিন আগেই আবাস যোজনা নিয়ে মিথ্যে কথা বলে দিয়েছে। মে মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করব। যদি না দেয় তবে মে মাসের শুরু থেকেই ১১ লক্ষ বাড়ি তৈরির কাজ শুরু হবে রাজ্যেই দিল্লীর জন্য আমরা আর অপেক্ষা করব না, ভিক্ষা করব না।” এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। “আজ বড় বড় কথা যারা বলেন তাঁদের আমি জিজ্ঞেস করি সিপিএম এর খুনিরাই আজকে বিজেপির হার্মাদ। সেই সিপিএমের হার্মাদরাই আজকে বিজেপির সবথেকে বড় ওস্তাদ হয়ে উঠেছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার আজ মডেল হয়ে গিয়েছে। দিল্লিও করছে দেখলাম। তবে ওদের খরচ হবে ২ হাজার কোটি টাকা। আর আমাদের খরচ হয় ২৫ থেকে ২৬ হাজার কোটি টাকা। কারণ আমাদের উপভোক্তার সংখ্যা অনেক বেশি”, জানান মমতা।
পাশাপাশি তিনি বলেন, “মনে রাখবেন এটা আমাদের গ্যারান্টি। বাংলার সরকার গ্যারান্টি দিলে সেটা হয় না। আমার কাছে দুঃখের খবর। প্রদীপরা আমাকে বলেছিল। ওটা আগে রেলের জায়গা ছিল। ইলেকশনের সময় জল কেটে দেওয়া হয়। বলা হয় বিজেপিকে ভোট না দিলে জল বিদ্যুৎ সব কেটে দেওয়া হবে। উচ্ছেদ করে দেওয়া হবে। একজনকেও উচ্ছেদ করতে দেব না। মানুষকে বলব, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন গড়ে তুলুন।” সামনেই তৃণমূলের জনগর্জন সভা। সেই সভার কথা মনে করিয়ে দেন মমতা। “চলুন সবাই ব্রিগেডে। শিল্পের হাওয়া এখন বাংলায় বইছে। তাই বাংলাকে ওরা ভয় পাচ্ছে। ওরা মানুষের খোঁজ নেয় না। জন্ম থেকে মৃত্যু মানুষের জন্য একাধিক জনকল্যাণমূলক প্রকল্প আছে। এ মাটি গদ্দারদের কোনও দিন বিশ্বাস করে না। আনুগত্যে বিশ্বাস করে। মা মাটি মানুষের সরকারই সকলের বিশ্বাস”, স্পষ্ট বক্তব্য তৃণমূল নেত্রীর।
