দুয়ারে কড়া নাড়ছে লোকসভা নির্বাচন। আর তার আগে সন্দেশখালি ইস্যুকে জিইয়ে রেখে বিজেপি যে এর ফসল ঘরে তুলতে চায়, তা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। আগামী মাসের ৬ তারিখ রাজ্য সফরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ওই দিন তিনি সভা করবেন বারাসতে। বৃহস্পতিবার বিজেপি সূত্রে বলা হয়েছে, রাজ্য সফরে এসে বসিরহাটের মহিলাদের সঙ্গেও দেখা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। আর এর থেকেই গেরুয়া শিবিরের উদ্দেশ্য ও বিধেয় পরিষ্কার। এ নিয়ে রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘জমি নন পেমেন্ট ইস্যুর অভিযোগ পেয়েছি। বাকিটা সিপিএম-বিজেপি ইস্যু জিইয়ে রাখতে চাইছেন। মানুষ শান্ত হয়ে আছেন। সেখানে অতি নাটকীয় ক্রিয়াকলাপের চেষ্টা করছে। ধর্ষণ বিষয়টি সাজানো।’
প্রসঙ্গত, তৃণমূল ইতিমধ্যেই বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল এবং জনৈক ব্যক্তির অশান্তি পাকানোর কথোপকথন সামনে এনে দিয়েছে। আবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের আঘাত যে সাজানো তারও ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছে রাজ্যের শাসক দল। কুণালের বক্তব্য, ‘অর্গানাইজ করে বিরোধীরা এটা করছে। পুরনো বাম করেন কিছু লোক বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন। জমি উদ্ধারের নাম করে সমস্যা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে।’ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তৃণমুল মুখপাত্র বলেন, ‘সহিষ্ণুতা দেখানোর চেষ্টা করছে পুলিশ। ডিজি গিয়েছেন। শান্ত করার চেষ্টা করছেন।’ কুণালের দাবি, ‘খবর আছে, দিল্লি থেকে নির্দেশ এসেছে যতদিন না প্রধানমন্ত্রী আসছেন ততদিন সন্দেশখালি ইস্যু জিইয়ে রাখতে হবে। এই সফর রাজনৈতিকভাবে কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি।’
এদিকে, বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই সন্দেশখালি ইস্যু নিয়ে পথে নেমে পড়েছেন। এ নিয়ে কুণালের বক্তব্য, ‘কোথায় ছিলেন উন্নাও, হাথরাসের সময়? মণিপুরের সময়? জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বকলমে জাতীয় বিজেপি রক্ষা কমিশন। তাই উন্নাও যায় না। মণিপুর জ্বলছে খুঁজে পাওয়া যায় না। এখানে আসে কারণ বিজেপির সংগঠনের ওপর ভরসা নেই। এবার বিজেপি ১০০ ক্রস করতে পারবে না। তাই পশ্চিমবঙ্গে আসছে সমস্যা তৈরি করতে। আগে রাজ্যের বকেয়া দিন। ২০২১ সালেও এসেছিলেন। কি হয়েছে? মানুষ এখন উত্তর চাইবে, কেন পেট্রোল ডিজেলের দাম বাড়ছে? কেন সারের দাম বাড়ছে। প্রধানমন্ত্রীর সভায় সাজিয়ে কাউকে বারাসাতে আনতে পারেন। দিল্লিতে কৃষকদের ঠেকাতে এতদিন ধরে ১৪৪ ধারা চলছে কিছু কথা নেই।’