লোকসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই বাড়ছে কেন্দ্রের ‘এজেন্সি রাজনীতি’। ইডি-সিবিআই লেলিয়ে বিরোধীদের ঘর ভাঙার অভিযোগ তো রয়েইছে, এবার এজেন্সির ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থার কাছ থেকে টাকার বিনিময়ে অযাচিত সুযোগ-সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার বিস্ফোরক অভিযোগ উঠল মোদী সরকারের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, এজেন্সি হানার পর অনুদানের নিরিখেই বিভিন্ন কোম্পানি থেকে পদ্ম শিবিরের ঘরে ঢুকেছে প্রায় ৩৩৫ কোটি টাকা! আর সবটাই হয়েছে একটি নির্বাচনী ট্রাস্টের মাধ্যমে। নির্বাচন কমিশনের আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত রিপোর্ট এবং কেন্দ্রীয় এজেন্সির কার্যকলাপ বিশ্লেষণ করেই অনলাইন সংবাদমাধ্যম ‘দ্য নিউজ মিনিট’ ও ‘নিউজলন্ড্রি’ এই বিস্ফোরক দাবি করেছে।
প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের দোরগোড়ায় কেন্দ্রের শাসক দলের বিরুদ্ধে ইডি-আয়কর দফতরকে লাগামছাড়া ব্যবহার করে কার্যত তোলাবাজির অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। রিপোর্ট বলছে, ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে বিজেপিকে ৪ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা অনুদান দিয়েছিল মধ্যপ্রদেশের এক মদ প্রস্তুতকারক সংস্থা। কিন্তু পরবর্তী আর্থিক বছরে তারা এক কোটি টাকা দেয় কংগ্রেসকে। এরপর ২০২০-র জুলাই মাসে কোম্পানির ঘরে হানা দেয় জিএসটি ইন্টেলিজেন্স। হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিক্রিতে ৮ কোটি টাকার কর না দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় সংস্থার দুই কর্ণধারকে। তাঁদের জামিনের ১০ দিনের মাথায় কোম্পানির তরফে এক কোটি টাকা যায় বিজেপির তহবিলে।
সেই শুরু, এরপর ওই বছরই আরও ১ কোটি টাকা নেওয়া হয় বিজেপির তরফে। এখানেই শেষ নয়, ফের ২ কোটির অনুদান ২০২১ সালের মে মাসে। এটা শুধুমাত্র একটি কোম্পানির খতিয়ান। আর এই অনুদানের পরিমাণটা কিছু কিছু কোম্পানির ক্ষেত্রে প্রায় ১০ কোটিরও বেশি। গত ৫ অর্থবর্ষে কেন্দ্রীয় এজেন্সির হানার পরই এমন অন্তত ৩০টি সংস্থার কাছ থেকে প্রায় ৩৩৫ কোটি টাকার অনুদান নেওয়ার অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে। নিউজ পোর্টালের দেওয়া তথ্যানুসারে এজেন্সি হানার নামে ৩৩৫ কোটি টাকা তুলেছে কেন্দ্রের শাসক দল, যার মধ্যে ২৩টি কোম্পানি দিয়েছে মোট ১৮৭ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। যারা টাকা দিয়েছে তারা কেন্দ্রের কাছ থেকে অযাচিত সুযোগ-সুবিধা পেয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই পরিসংখ্যান ২০১৮-১৯ থেকে ২০২২-২৩ পর্যন্ত অর্থবর্ষের।