এনসিপির প্রকৃত মালিকানা কাদের হাতে, গত ৬ মাস ধরে তা নিয়ে চলছিল শুনানি। অবশেষে বিবাদমান দুই গোষ্ঠীর মধ্যে অজিত পাওয়ার শিবিরকেই আসল ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টি বলে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। আর তার ফলে শরদ পাওয়ারের নিজের হাতে গড়া দলের নামই বদলে গিয়েছে। ‘ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি শরদচন্দ্র পাওয়ার’— এই নামের দল নিয়েই আসন্ন নির্বাচনে লড়বেন ‘মারাঠা স্ট্রংম্যান’। এবার লোকসভা নির্বাচনের আগে আগে নতুন প্রতীকও পেলেন তিনি। লোকসভায় তাঁর দল লড়বে ‘তূর্য (শিঙা) বাদক ব্যক্তি’ প্রতীক নিয়ে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে এনসিপিতে গোষ্ঠী কোন্দল চরমে পৌঁছায়। সদলবলে শরদ পাওয়ারের এনসিপি থেকে বেরিয়ে বিজেপির হাত ধরেন ভাইপো অজিত পাওয়ার। মহারাষ্ট্র মন্ত্রিসভায় যোগ দেন এনসিপির ৯ বিধায়ক। অজিত নিজে উপমুখ্যমন্ত্রী হন। ক্ষুব্ধ শরদ অজিত শিবিরের একাধিক নেতাকে বরখাস্ত করেন। দাবি করেন, আসল এনসিপি তাঁরাই। বিষয়টি গড়ায় নির্বাচন কমিশন পর্যন্ত। গত ৬ ফেব্রুয়ারি তারা জানিয়ে দিয়েছে, অজিত শিবিরই আসল এনসিপি। ‘এনসিপি’ নাম এবং নির্বাচনী প্রতীক ‘ঘড়ি’ ব্যবহারের অধিকার পাবে তাঁর গোষ্ঠী। তখনই ঠিক হয়ে যায় শরদের নেতৃত্বাধীন শিবিরের নাম হবে এনসিপি (শরদচন্দ্র পওয়ার)। এবার সেই শিবিরকে প্রতীক দিল ‘তূর্য (শিঙা) বাদক ব্যক্তি’। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন শরদ।