২০১১–র সালের সুনীল ছেত্রী। আর আজকের সুনীল ছেত্রী। অনেক ফারাক দুই সুনীলের মধ্যে। আট বছর আগে আজকের দিনে বাহারিনের বিরুদ্ধে দলের দ্বিতীয় গোল করেছিলেন সুনীল। বাইচুং, রেনেডি সিংদের ছেড়ে যাওয়া নৌকোর পালে হাওয়া লাগিয়েছেন সুনীল। বর্তমানে ভারতীয় ফুটবলের শাহাজান তো তিনিই। এই মুহূর্তে ভারতীয় ফুটবল বললে সবার প্রথমে যে নামটা ভেসে উঠবে, তা হল সুনীল ছেত্রী। আজকের ম্যাচে গোটা দেশ তাঁর দিকে তাকিয়ে থাকবে। প্রত্যাশার চাপ নিতে ভালবাসেন। আগের ম্যাচে আমিরশাহির বিরুদ্ধে হেডে সহজ গোল নষ্ট করে সারারাত ঘুমোতে পারেননি। আজকের রাতে যেন শেষ হাসি তিনি হাসতে পারেন, সেই যুদ্ধের প্রস্তুতি শেষ। আজকের ম্যাচে গোলের জন্য তিনি অন্যতম ভরসা দলের। আট বছর আগে বাহারিনের বিরুদ্ধে দলের দ্বিতীয় গোল করেছিলেন সুনীল।
‘কে গোল করল সেটা আমার কাছে কোনও ব্যাপার নয়। ফুটবল হল টিম গেম। জিততে গেলে সবাইকে ভাল খেলতে হবে।’ তাঁর সংযোজন, ‘ভারতবাসীর মধ্যে ফুটবলকে ঘিরে আগ্রহ আগের থেকে বেড়েছে। ভারতীয় ফুটবলের সঙ্গে জড়িত সবারই এরজন্য অবদান রয়েছে। তবে আমি বলতে চাই, আমরা অল্প এগিয়েছি, এখনও অনেক কাজ বাকি। আরও পরিশ্রম করতে হবে। মাটিতে পা রেখে আরও এগোতে হবে।’
আট বছর আগের সঙ্গে আজকের ম্যাচে কোনওভাবেই গুলিয়ে ফেলতে চাইছেন না সুনীল। তাঁর মতে, ২০১১ তে অনেক কঠিন গ্রুপে ছিল ভারত। গ্রুপে ছিল অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও বাহারিন। তবে, ভারত সেভাবে কিছু করতে না পারলেও হৃদয় দিয়ে খেলেছিল টুর্নামেন্টটা। ‘মনে আছে, দারুণ ড্রিবলিং করে ৩৫ গজ দূর থেকে রেনেডির একটা শট নেয়। তা বারে লেগে গোল লাইনের কাছে ড্রপ পড়ে। পরে টিভি রিপ্লেতে দেখেছিলাম ওটা গোল ছিল। কিন্তু রেফারি দেননি।’
‘আমি চাই এশিয়ার মধ্যে সেরা দশের মধ্যে ভারতকে দেখতে। যা এখনও আমরা অর্জন করতে পারিনি। সেটা করতে আমাদের আরও ঘাম ঝরাতে হবে। আরও উন্নতি করতে হবে। তার প্রথম ধাপ হল কালকের বাহারিন ম্যাচ জিততে হবে।’
সুনীল ছাড়া ২০১১ এশিয়ান কাপের স্বাদ পেয়েছিলেন বর্তমান গোলরক্ষক গুরপ্রীত সিং সান্ধু। তিনিও ফিরে গেলেন আট বছর আগে, ‘মনে আছে, বাহারিন ম্যাচের আগে টিমের সবাই খুব শান্ত ছিল। আমাদের বিশ্বাস ছিল বাহারিন ম্যাচটা জিতব। গোল করেছিলাম কিন্তু শেষ পর্যন্ত জিততে পারিনি। কিন্তু এবার টিম আলাদা। পরিস্থিতির বদল হয়েছে। আট বছর আগের থেকে এখন আমরা তুলনামূলক ভাল জায়গায় রয়েছি।’